Dangerous Electronic Items: ড্রয়ারে পুরনো ফোন বা হেডফোন? বিস্ফোরণ হতে পারে, এখনই বাড়ি থেকে সরান ভয়ঙ্কর 8 ইলেকট্রনিক আইটেম

Tech Tips: একাধিক এমন সংস্থা রয়েছে, যারা আপনার এরকম পুরনো গ্যাজেট রিসাইকেল করে। তবে তার আগে আপনার জেনে নেওয়া দরকার যে, কোন কোন পুরনো ডিভাইস আপনার বাড়িতে দীর্ঘ দিন ধরে থাকলে সমস্যা হতে পারে এবং সেগুলি রিসাইকেল করা দরকার।

Dangerous Electronic Items: ড্রয়ারে পুরনো ফোন বা হেডফোন? বিস্ফোরণ হতে পারে, এখনই বাড়ি থেকে সরান ভয়ঙ্কর 8 ইলেকট্রনিক আইটেম
প্রতীকী ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 14, 2022 | 1:35 PM

Tips And Tricks: প্রতিটা ইলেকট্রনিক ডিভাইসেরই একটা এক্সপায়ারি ডেট থাকে, যা সংস্থাগুলি আপনাকে জানায় না। কখনও আমরা ইমোশনাল অ্যাটাচমেন্ট থেকেও একটা পুরনো ডিভাইস বাড়ি থেকে সরিয়ে দিই না। ব্যবহার করি আর না-ই বা করি, অনেক দিনের পুরনো একটা রেডিও, যা আমাদের বাপ-ঠাকুরদার আমলের- যত্নসহকারে তা রেখে দিই। কিন্তু সেই বহু পুরাতন ডিভাইসই আমাদের জীবনে ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনতে পারে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে, এই ধরনের পুরনো ডিভাইস ডিসপোজ় করা উচিত বা রিসাইকেল করে নেওয়া দরকার। একাধিক এমন সংস্থা রয়েছে, যারা আপনার এরকম পুরনো গ্যাজেট রিসাইকেল করে। তবে তার আগে আপনার জেনে নেওয়া দরকার যে, কোন কোন পুরনো ডিভাইস আপনার বাড়িতে দীর্ঘ দিন ধরে থাকলে সমস্যা হতে পারে এবং সেগুলি রিসাইকেল করা দরকার।

1) ড্রয়ারে পুরনো ফোন রেখে দেওয়া

ফিচার ফোন, এমনকি স্মার্টফোনেও থাকে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি। তাই পুরনো ফোন আপনার ড্রয়ারে বেশি দিন রেখে দিলে বড় বিপদ হতে পারে। অনেক সময়ই দেখা যায়, পুরনো ফোন আরও যত পুরনো হতে থাকে, তার ব্যাটারি ফুলে ঢোল হয়ে যায়। এর ফলে ফোন বার্স্ট করে বড়সড় বিপত্তি ঘটে যেতে পারে। অজান্তে অনেকেই আহত হতে পারেন।

2) পুরনো রাউটার

বাড়িতে পুরনো রাউটার থাকার অর্থ হল সাইবার ক্রিমিনালদের সরাসরি আমন্ত্রণ পাঠানো। আর সাইবার ক্রিমিনাল যদি আপনার বাড়ির অতিথি হয়ে যায়, তাহলে কত বড় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন আপনি হতে পারেন, একবার কল্পনা করে দেখুন। সফিস্টিকেটেড হ্যাকিংয়ের বিরুদ্ধে পুরনো রাউটারগুলি কখনই সুরক্ষা প্রদান করতে পারে না। তাই হ্যাকাররাও পথ খোঁজেন, কোথায় পুরনো ডিভাইস রয়েছে। এছাড়াও ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত অনেক পুরনো দিনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস শর্ট সার্কিট এবং আগুনও ধরাতে পারে।

3) পুরনো পাওয়ার কেবেল

যে কোনও কেবেলই পুরনো হয়ে গেলে তাদের নিরোধক বৈশিষ্ট্য হারাতে পারে। ফলে, সেই তারগুলি চেক না করা হলে শক, স্পার্ক এবং আগুনও ধরাতে পারে। এছাড়া দীর্ঘ দিন ধরে অব্যবহৃত তারও পুরনো হয়ে গেলে প্রাণঘাতী হতে পারে। তাই, পুরনো তার ফেলে দিন, বাড়িতে খবরদার রাখবেন না।

4) দেওয়ালের ভেঙে যাওয়া সকেট

দেওয়ালের সকেট যা ভেঙে গিয়েছে, তা আপনার জন্য ভয়ঙ্কর হতে পারে। বিশেষ করে, আপনার বাড়িতে যদি বাচ্চা থাকে। সেকেটে কিছু ছোট্ট ছোট্ট অংশ থাকে, যেমন নাট, বোল্ট এবং ভাঙা কিছু অংশ যা আপনাকে আঘাতপ্রাপ্ত করতে পারে। এমন যদি ভেঙে যাওয়া সকেট বা নষ্ট হয়ে গিয়েছে এমন সকেট বাড়িতে রেখে দেন, তাহলে দুর্ঘটনা এড়াতে সেগুলি বদলে নিন।

5) পুরনো বাল্ব ও টিউবলাইট

আমরা বাড়িতে অনেক সময়ই পুরনো বাল্ব বা টিউবলাইট রেখে দিই। সেগুলিতে অনেক ছোট অংশ থাকে- টাংস্টেন ফিলামেন্ট, কেমিক্যাল এবং গ্যাসও থাকে তাদের ভিতরে। এখন কোনও ক্রমে সেই পুরনো বাল্ব বা টিউবলাইট যদি ভেঙে যায়, তাহলে তার টুকরো-টুকরো অংশগুলি আপনার জন্য ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। মনে রাখবেন, এই সব ডিভাইসের মেটাল এবং গ্লাস রিসাইকেল করা যেতে পারে।

6) পুরনো চার্জার

পুরনো চার্জার সার্কিন বোর্ড ব্যবহার করে, যেগুলি হাই-মলিকিউলার পলিমার, গ্লাস ফাইবার, হাই পিওরিটি কপার ফয়েল এবং প্রিন্টেড কম্পোনেন্ট দ্বারা কম্পোজ় করা হয়। জেনে রাখবেন, চার্জারের সার্কিট বোর্ডের বয়স বাড়লে তা আপনার বাড়িতে আগুন ধরাতে পারে এবং বিস্ফোরণও হতে পারে। এই চার্জারের সার্কিন বোর্ডগুলি রিপ্লেস করা যেতে পারে।

7) পুরনো ইয়ারফোন এবং স্পিকার

ইয়ারফোন এবং স্পিকারে থাকে একাধিক টক্সিক মেটিরিয়াল। ম্যাগনেট (মেটাল), কপার কয়েল, প্লাস্টিক এবং ব্যাটারির মতো উপাদান থাকে। এগুলিকে যদি যথাযথ ভাবে নিস্ক্রিয় করতে না পারেন, তাহলে তা পরিবেশের জন্য খতরা হয়ে দেখা দিতে পারে। এই ধরনের ডিভাইসের ব্যাটারির সামান্য লিকেজ আপনাকে ভয়নাক বিপদের দিকে ঠেলে দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনি পুরনো বা ভেঙে গিয়েছে বা নষ্ট হয়ে গিয়েছে এমন হেডফোন, সংস্থাগুলির কাছে জমা দিয়ে দিতে পারেন রিসাইকেল করার জন্য।

8) পুরনো হার্ড ড্রাইভ

পুরনো হার্ড ড্রাইভ নিরাপদ দেখাতে পারে, কিন্তু ব্যবহার না করলে সেটি ড্রয়ারে ঢুকিয়ে রাখা মোটেই ভাল কাজ নয়। হার্ড ড্রাইভে থাকে অ্যালুমিনিয়াম, প্রোটেক্টিভ পলিমার, প্লাস্টিক এবং ম্যাগনেটের মতো উপাদান। এই ধরনের উপাদানগুলি আপনার পরিবেশকে ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। পুরনো হার্ডড্রাইভও আমরা রিসাইকেল বা নিষ্ক্রিয় করতে পারি। তবে তা ঠিকভাবে নিষ্ক্রিয় করা দরকার, যাতে ডেটা সংক্রান্ত কোনও সমস্যা দেখা না যায়।