WhatsApp OTP Scam: খুব সাবধান! এই নম্বরে ফোন করলেই আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করবে হ্যাকার

WhatsApp Latest News: হোয়াটসঅ্যাপে একটি বড়সড় প্রতারণাচক্র কাজ করছে। হ্যাকাররা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের একপ্রকার বাধ্য করাচ্ছেন কয়েকটি নম্বরে ফোন করতে। আর সেই নম্বরে ফোন করলেই আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে হ্যাকারের কাছে।

WhatsApp OTP Scam: খুব সাবধান! এই নম্বরে ফোন করলেই আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করবে হ্যাকার
প্রতীকী ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 27, 2022 | 3:18 PM

হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) যে বিশ্বের জনপ্রিয় ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মগুলির একটি, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আর এই গগনচুম্বী জনপ্রিয়তার কারণেই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের সর্বদা সতর্ক থাকা উচিৎ। কারণ, এই প্ল্যাটফর্মে হ্যাকারদের কারসাজি লেগেই থাকে। এবারও এমনই একটা আশঙ্কার বিষয় উপস্থিত হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপে। ক্লাউডেস্ক ডট কমের প্রতিষ্ঠাতা রাহুল শশী একটি OTP স্ক্যামের কথা বলছেন, যা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট হাইজ্যাক করতে পারে। শশী জানিয়েছেন, সাইবার অপরাধীরা (Cyber Attackers) খুব সহজ একটা ট্রিক ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট টেকওভার করতে চাইছে। ট্যুইটারে একটি পোস্টের মাধ্যমে রাহুল শশী দেখিয়েছেন যে, কীভাবে এই স্ক্যাম কাজ করে।

এই হোয়াটসঅ্যাপ OTP স্ক্যাম কীভাবে কাজ করবে

হ্যাকাররা প্রথমেই একজন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীকে ফোন করছে এবং তাঁকে “**67*<10 ডিজিট নম্বর> বা *405*<10 ডিজিট নম্বর>”-এ ফোন করার জন্য একপ্রকার রাজিও করিয়ে ফেলছে। একজন ব্যবহারকারী এই নম্বরগুলির একটিতেও যদি ডায়াল করেন, তাহলে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট থেকে তিনি লগড আউট হয়ে যাবেন। আর সেই হ্যাকার আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের সম্পূর্ণ ভাবে নিয়ন্ত্রণ পেয়ে যাবেন।

কীভাবে সম্ভব? শশী দাবি করেছেন, এখানে যে ঘটনাটি ঘটছে, তা হল আপনি যখন ওই নম্বরগুলিতে ফোন করছেন, তখন তা এয়ারটেল বা রিলায়েন্স জিও-র কাছে একটি সার্ভিস রিকোয়েস্ট হিসেবে পৌঁছে যাচ্ছে এই মর্মে যে, আপনার নম্বরটি ব্যস্ত বা এনগেজড রয়েছে এবং কোম্পানিগুলি তার জন্য যেন কল ফরোয়ার্ডিং করে রাখে। আর এখানেই আসল কারসাজিটা করে ওই জালিয়াতরা। আসলে তাঁরা যে নম্বরটিতে কল ফরোয়ার্ড করে রাখে, সেটি আসলে ওই হ্যাকারদেরই নম্বর।

ব্যস! আর সেই ফরোয়ার্ডেড কল থেকেই শুরু হয়ে যায় হ্যাকিং। ব্যাকএন্ডে হ্যাকার ওই ভুক্তভোগী ব্যবহারকারীর নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপ রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াটি ট্রিগার করে এবং এমনই একটি অপশন বেছে নেয়, যার মাধ্যমে ফোন কলের দ্বারা OTP পাঠানোর অপশনটিও বেছে নেয় তারা। এবার সেই ভুক্তভোগীর নম্বরটি যখন এনগেজড থাকছে, তখন OTP পৌঁছে যাচ্ছে হ্যাকারের ফোনে এবং ব্যবহারকারীর অজান্তেই তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলছে।

রাহুল শশী আরও জানিয়েছেন যে, হ্যাকারদের এই ট্রিক সারা বিশ্বে ব্যাপক ভাবে চলেছে বিগত কয়েক বছরে। আর তার কারণ হল, সারা বিশ্বের প্রায় প্রতিটি প্রান্তেই সার্ভিস প্রোভাইডারদের একই সার্ভিস রিকোয়েস্ট নম্বর থাকে।

এই বিষয়টা এখনও জানেন না, তাঁদের জেনে রাখা উচিৎ যে, হোয়াটসঅ্যাপ তার ইউজারদের অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করার জন্য একটি OTP নম্বর পাঠিয়ে থাকে তাঁদের রেজিস্টার্ড ফোন নম্বরে। সেই SMS-এ থাকে একটি 6 ডিজিটের ভেরিফিকেশন কোড (OTP), যা ইউজারদের হোয়াটসঅ্যাপে ভেরিফিকেশন স্ক্রিনে দিতে হয়। এই ভেরিফিকেশন কোডটি ইউনিক হয় এবং গ্রাহক যতবার ডিভাইস বদলাবেন বা ফোন নম্বর বদলাবেন, ততবারই তাঁকে এই OTP দেখানো হবে।