বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমান্বয়ে মানুষের ঘ্রাণশক্তি কমতে থাকছে। এক কথায়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সংবেদনশীলতা (Sensitivity) হারাচ্ছে মানুষের নাক (Human Noses)। সম্প্রতি একটি গবেষণা থেকে এমনই উদ্বেগের তথ্য জানা গিয়েছে। গবেষণায় কস্তুরী (হরিণের নাভি থেকে প্রাপ্ত মহামূল্যবাণ সুগন্ধি) ও শরীরের গন্ধের জন্য দুটি মিউটেশন-সহ সেন্ট বা ঘ্রাণ রিসেপ্টর পাওয়া গিয়েছে, যেগুলি ঘ্রাণশক্তি কম বা অতিরিক্ত তীব্র করে তোলে। এই গবেষণাটি করেছেন চাইনিজ় অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স-এর সিজিয়া ওয়াং এবং মোনেল কেমিক্যাল সেন্সেস-এর জোয়েল মেনল্যান্ড। পিএলওএস জেনেটিক্স (PLOS Genetics) নামক একটি জার্নালে গবেষকরা এই তত্ত্ব তুলে ধরেছেন, যা প্রকাশিত হয়েছে গত ৩ ফেব্রুয়ারি।
এই গবেষণায়, ১০০ জন চিনা মানুষের জিনোম পরীক্ষা করেছেন গবেষকরা । অংশগ্রহণকারীরা কী ভাবে ১০টি ভিন্ন ঘ্রাণ অনুভব করেন, তার সঙ্গে সম্পর্কিত জেনেটিক বৈচিত্র খুঁজে বের করতেই এই পরীক্ষাটি করা হয়েছিল। তারপরে গবেষকরা তাঁদের ফলাফল নিশ্চিত করতে ৩৬৪ জন জাতিগত ভাবে বৈচিত্র্যময় মানুষের ছয়টি গন্ধের জন্য পরীক্ষাটি পুনরাবৃত্তি করেছিলেন। পরীক্ষার পরে গবেষকরা দুটি নতুন রিসেপ্টর সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন, যার একটি সুগন্ধিতে ব্যবহৃত সিন্থেটিক মাস্ক বা কস্তুরী (হরিণের নাভি থেকে ব্যবহৃত মূল্যবাণ সুগন্ধি) সনাক্ত করে এবং অন্যটি মানুষের বগলের গন্ধের একটি যৌগের জন্য।
পরীক্ষায় দেখা যায়, অংশগ্রহণকারীরা কস্তুরী এবং বগলের গন্ধ রিসেপ্টর জিনের বিভিন্ন সংস্করণ বহন করে এবং সেই জিনগত বৈচিত্রগুলি ব্যাক্তির ঘ্রাণ উপলব্ধি করার বিষয়টি প্রভাবিত করে। পূর্বে প্রকাশিত ফলাফলের সংমিশ্রণে, গবেষকরা দেখতে পান যে গন্ধ রিসেপ্টরগুলির পূর্বপুরুষ সংস্করণ (অন্যান্য অ-মানব প্রাইমেটদের সঙ্গে ভাগ করা সংস্করণ) সহ লোকেরা সংশ্লিষ্ট গন্ধকে আরও তীব্র হিসেবে রেটিং দিয়েছেন। পরীক্ষার ফলাফল মূলত এই অনুমানটিকে সমর্থন করে যে, মানুষের এবং অন্যান্য প্রাইমেটদের গন্ধের সংবেদনশীলতা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের গন্ধ রিসেপ্টরগুলির জন্য কোড জিনের সেটের পরিবর্তনের কারণে হ্রাস পেয়েছে।
জেনেটিক বিশ্লেষণটি গন্ধ রিসেপ্টর এবং নির্দিষ্ট গন্ধের জন্য জিনের মধ্যে তিনটি সম্পর্ক চিহ্নিত করেছে, যা বিজ্ঞানীরা পূর্বে রিপোর্ট করেছিলেন। এই পূর্ববর্তী গবেষণায় প্রাথমিকভাবে ককেসিয়ান (উত্তর আমেরিকান) অংশগ্রহণকারীদের অন্তর্ভুক্ত। পূর্ব এশিয়া এবং বিভিন্ন জনসংখ্যার উপরে চালানো এই নতুন পরীক্ষার ফলাফল একটি বিষয় পরিষ্কার করে দেয় যে, গন্ধ সনাক্ত করার ক্ষমতার অন্তর্নিহিত জেনেটিক্স বিভিন্ন পটভূমির লোকেদের মধ্যেই স্থির থাকে।
গবেষণার মূল লেখক বলছেন, “জিনোম-ওয়াইড স্ক্যানগুলি গন্ধ উপলব্ধির সঙ্গে যুক্ত অভিনব জেনেটিক রূপগুলিকে সনাক্ত করেছে। এই অনুমানই প্রমাণ করে দিচ্ছে যে, মানুষ এবং প্রাইমেটদের ঘ্রাণজ রিসেপ্টর ভাণ্ডার সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অধঃপতিত হয়েছে।”
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
আরও পড়ুন: ইঞ্জেকশন-ভীতি দূর করতে কচ্ছপ আকৃতির বড়ি নিয়ে এলেন ভারতীয় বিজ্ঞানী, কোভিড টিকাকরণের কার্যকর পিল!
আরও পড়ুন: মহাকাশ থেকে অক্টোপাসের আগমন? সে আবার কী! গবেষণা তো তাই বলছে…
আরও পড়ুন: হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকির কথা বলবে চোখ! কৃত্রিম বুদ্ধিমতা নির্ভর পদ্ধতির সন্ধান দিলেন গবেষকরা
বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমান্বয়ে মানুষের ঘ্রাণশক্তি কমতে থাকছে। এক কথায়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সংবেদনশীলতা (Sensitivity) হারাচ্ছে মানুষের নাক (Human Noses)। সম্প্রতি একটি গবেষণা থেকে এমনই উদ্বেগের তথ্য জানা গিয়েছে। গবেষণায় কস্তুরী (হরিণের নাভি থেকে প্রাপ্ত মহামূল্যবাণ সুগন্ধি) ও শরীরের গন্ধের জন্য দুটি মিউটেশন-সহ সেন্ট বা ঘ্রাণ রিসেপ্টর পাওয়া গিয়েছে, যেগুলি ঘ্রাণশক্তি কম বা অতিরিক্ত তীব্র করে তোলে। এই গবেষণাটি করেছেন চাইনিজ় অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স-এর সিজিয়া ওয়াং এবং মোনেল কেমিক্যাল সেন্সেস-এর জোয়েল মেনল্যান্ড। পিএলওএস জেনেটিক্স (PLOS Genetics) নামক একটি জার্নালে গবেষকরা এই তত্ত্ব তুলে ধরেছেন, যা প্রকাশিত হয়েছে গত ৩ ফেব্রুয়ারি।
এই গবেষণায়, ১০০ জন চিনা মানুষের জিনোম পরীক্ষা করেছেন গবেষকরা । অংশগ্রহণকারীরা কী ভাবে ১০টি ভিন্ন ঘ্রাণ অনুভব করেন, তার সঙ্গে সম্পর্কিত জেনেটিক বৈচিত্র খুঁজে বের করতেই এই পরীক্ষাটি করা হয়েছিল। তারপরে গবেষকরা তাঁদের ফলাফল নিশ্চিত করতে ৩৬৪ জন জাতিগত ভাবে বৈচিত্র্যময় মানুষের ছয়টি গন্ধের জন্য পরীক্ষাটি পুনরাবৃত্তি করেছিলেন। পরীক্ষার পরে গবেষকরা দুটি নতুন রিসেপ্টর সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন, যার একটি সুগন্ধিতে ব্যবহৃত সিন্থেটিক মাস্ক বা কস্তুরী (হরিণের নাভি থেকে ব্যবহৃত মূল্যবাণ সুগন্ধি) সনাক্ত করে এবং অন্যটি মানুষের বগলের গন্ধের একটি যৌগের জন্য।
পরীক্ষায় দেখা যায়, অংশগ্রহণকারীরা কস্তুরী এবং বগলের গন্ধ রিসেপ্টর জিনের বিভিন্ন সংস্করণ বহন করে এবং সেই জিনগত বৈচিত্রগুলি ব্যাক্তির ঘ্রাণ উপলব্ধি করার বিষয়টি প্রভাবিত করে। পূর্বে প্রকাশিত ফলাফলের সংমিশ্রণে, গবেষকরা দেখতে পান যে গন্ধ রিসেপ্টরগুলির পূর্বপুরুষ সংস্করণ (অন্যান্য অ-মানব প্রাইমেটদের সঙ্গে ভাগ করা সংস্করণ) সহ লোকেরা সংশ্লিষ্ট গন্ধকে আরও তীব্র হিসেবে রেটিং দিয়েছেন। পরীক্ষার ফলাফল মূলত এই অনুমানটিকে সমর্থন করে যে, মানুষের এবং অন্যান্য প্রাইমেটদের গন্ধের সংবেদনশীলতা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের গন্ধ রিসেপ্টরগুলির জন্য কোড জিনের সেটের পরিবর্তনের কারণে হ্রাস পেয়েছে।
জেনেটিক বিশ্লেষণটি গন্ধ রিসেপ্টর এবং নির্দিষ্ট গন্ধের জন্য জিনের মধ্যে তিনটি সম্পর্ক চিহ্নিত করেছে, যা বিজ্ঞানীরা পূর্বে রিপোর্ট করেছিলেন। এই পূর্ববর্তী গবেষণায় প্রাথমিকভাবে ককেসিয়ান (উত্তর আমেরিকান) অংশগ্রহণকারীদের অন্তর্ভুক্ত। পূর্ব এশিয়া এবং বিভিন্ন জনসংখ্যার উপরে চালানো এই নতুন পরীক্ষার ফলাফল একটি বিষয় পরিষ্কার করে দেয় যে, গন্ধ সনাক্ত করার ক্ষমতার অন্তর্নিহিত জেনেটিক্স বিভিন্ন পটভূমির লোকেদের মধ্যেই স্থির থাকে।
গবেষণার মূল লেখক বলছেন, “জিনোম-ওয়াইড স্ক্যানগুলি গন্ধ উপলব্ধির সঙ্গে যুক্ত অভিনব জেনেটিক রূপগুলিকে সনাক্ত করেছে। এই অনুমানই প্রমাণ করে দিচ্ছে যে, মানুষ এবং প্রাইমেটদের ঘ্রাণজ রিসেপ্টর ভাণ্ডার সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অধঃপতিত হয়েছে।”
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
আরও পড়ুন: ইঞ্জেকশন-ভীতি দূর করতে কচ্ছপ আকৃতির বড়ি নিয়ে এলেন ভারতীয় বিজ্ঞানী, কোভিড টিকাকরণের কার্যকর পিল!
আরও পড়ুন: মহাকাশ থেকে অক্টোপাসের আগমন? সে আবার কী! গবেষণা তো তাই বলছে…
আরও পড়ুন: হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকির কথা বলবে চোখ! কৃত্রিম বুদ্ধিমতা নির্ভর পদ্ধতির সন্ধান দিলেন গবেষকরা