Chat GPT: Google-এর বিরাট সর্বনাশ করতে এল এই অ্যাপ, একাধিক স্কুলে এখনই নিষিদ্ধ
Chat GPT আসলে একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক টুল, অর্থাৎ AI জেনারেটেড। অত্যন্ত উন্নত অ্যাপটিকে মানব সভ্যতার জন্য হুমকি বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। শিক্ষাক্ষেত্রে এই অ্যাপটি সবথেকে বেশি পরিমাণে ব্যবহৃত হচ্ছে।
Chat GPT App: বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গেই একটি অ্যাপ বহু মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। সেই অ্যাপটির নাম Chat GPT (জেনারেটিভ প্রি-ট্রেইনড ট্রান্সফরমার)। এই Chat GPT অ্যাপটি এতটাই উন্নত যে, এটি Google-কেও টেক্কা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। Chat GPT আসলে একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক টুল, অর্থাৎ AI জেনারেটেড। অত্যন্ত উন্নত অ্যাপটিকে মানব সভ্যতার জন্য হুমকি বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। শিক্ষাক্ষেত্রে এই অ্যাপটি সবথেকে বেশি পরিমাণে ব্যবহৃত হচ্ছে। Chat GPT অ্যাপের সাহায্যে শিশুদের পড়ানোও শুরু হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে।
চ্যাট জিপিটির বিশেষত্ব হল, এটি মানুষের মতো কথা বলে। তার আচরণও মানুষের মতোই। যে কোনও কিছু পরিমাপ থেকে শুরু করে আপনার সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারে অ্যাপটি। শুধু তাই নয়। সবকিছু নিখুঁত ভাবে জানাতে পারে সে। আর সেই কারণেই নিউইয়র্কের একাধিক স্কুল Chat GPT নিষিদ্ধ করেছে।
শিশু ও শিক্ষকদের ভবিষ্যতের জন্য ভাল নয় বলে তাৎক্ষণিকভাবে Chat GPT ব্লক করা হয়েছে। এটি সমস্ত প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেয় এবং খুব দ্রুততার সঙ্গেই সেই উত্তরগুলি দেয় অ্যাপটি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই অ্যাপ ব্যবহার করলে শিশুদের যুক্তিশক্তি হ্রাস পাবে। সেই কারণে ভবিষ্যতে মানুষের সমস্যা সমাধানের দক্ষতাও ব্যাপক ভাবে প্রভাবিত হবে।
এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সরঞ্জামের আবির্ভাব হওয়ায় যে, লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থানের উপর সঙ্কটের মেঘ নেমে আসতে পারে, তা স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। এর সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়বে শিক্ষাক্ষেত্র, কন্টেন্ট রাইটিং এবং সফটওয়্যার সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে। যদি এই অ্যাপটি সমস্ত দেশে পুরোপুরি কার্যকর হয়, তাহলে এর কারণে বহু মানুষ কাজ হারাতে চলেছেন।
Google-এর মতোই Chat GPT একটি সার্চ ইঞ্জিনের মতো কাজ করে। তবে এটি গুগলের থেকে অনেক বেশি উন্নত। যে কোনও প্রশ্নের উত্তর, লিঙ্কের মাধ্যমে আপনার সামনে নিয়ে আসে না অ্যাপটি। Chat GPT সরাসরি আপনাকে সেই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে।