Pakistan University: ভাইবোনের ‘লাভ মেকিং’ সম্পর্ক নিয়ে প্রবন্ধ লিখতে দিয়ে বিতর্কে পাক বিশ্ববিদ্যালয়
Controversial Question Paper: পাকিস্তানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্রে পড়ুয়াদের একটি রচনা লিখতে দেওয়া হয়েছে, যার বিষয়বস্তু ভাইবোনের 'লাভ মেকিং' সম্পর্ক। তা নিয়েই এখন সারা বিশ্ব তোলপাড়।
Pakistan News: ভাই ও বোনের মধ্যে রয়েছে অপার ভালবাসার সম্পর্ক। কিন্তু সেই সম্পর্ক কোন দিক থেকে ‘লাভ মেকিং’ হতে পারে। পাকিস্তানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্রে এমনই বিতর্কিত বিষয় উঠে এসেছে। সেখানে পড়ুয়াদের একটি রচনা লিখতে দেওয়া হয়েছে, যার বিষয়বস্তু ভাইবোনের ‘লাভ মেকিং’ সম্পর্ক। ইসলামাবাদের COMSATS বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিতর্কিত প্রশ্নই এখন গোটা বিশ্বের চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। সংবাদমাধ্যম NDTV-র একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, বিতর্কিত এই প্রশ্ন নিয়ে দেশের তারকারা এবং ছাত্র সংগঠনগুলি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর এবং উপাচার্যের কাছে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানিয়েছেন।
ভাইরাল প্রবন্ধটির শিরোনাম, ‘দ্য জুলি অ্যান্ড মার্ক সিনারিও’। ওই প্রশ্নে পড়ুয়াদের “ভাই ও বোনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ঠিক কি না”, সে বিষয়ে তাঁদের জ্ঞান এবং ব্যক্তিগত মতামত নিয়ে প্রবন্ধ লিখতে বলা হয়েছে। নিউইয়র্ক পোস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী, খাইর উল বাশার নামে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক এই প্রশ্নপত্র সেট করেছেন। অধ্যাপককে বরখাস্ত এবং ব্ল্যাকলিস্ট করার দাবি জানিয়েছে সে দেশের শিক্ষিতসমাজ।
রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, গত ডিসেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাচেলর অফ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের পরীক্ষায় এই বিতর্কিত প্রশ্নটি এসেছিল। বিতর্ক দানা বাঁধতেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অধ্যাপক বাশারকে বরখাস্ত করে গত জানুয়ারিতে। তবে এ নিয়ে এখনও ক্ষোভে ফুসছে পাকিস্তানের মানুষজন।
Stop dusting the filth under the carpet to protect the culprits. Is it enough to fire that moron who asked such a filthy question?Don’t the higher ups in the university know what’s going on? Or is the #comsatsuniversity owned by the teacher? Stop this nonsense rant #COMSATS pic.twitter.com/7GMBZ3ynTK
— Mishi khan (@mishilicious) February 20, 2023
গত 20 ফেব্রুয়ারি মিশি খান নামে পাকিস্তানের এক মহিলা টুইটারে এই প্রশ্নপত্র প্রকাশ করে ভিডিয়ো বার্তায় নিজে কিছু প্রশ্ন তুলে ধরেছেন। তাঁর বক্তব্য, ডিসেম্বরের ঘটনা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়ে আসার মানে এই না যে, অধ্যাপককে বরখাস্ত করেই সব দায় শেষ। টুইটারে তিনি লিখেছেন, “অপরাধীদের রক্ষা করতে কার্পেটের তলায় লুকিয়ে থাকা বন্ধ করুন। এমন নোংরা প্রশ্ন যিনি করেছেন, তাকে বরখাস্ত করেই সব দায়িত্ব চুকে গেল, সব সমস্যা মিটে গেল? বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চপদস্থরা জানেন না যে সেখানে কী চলছে! এই ধরনের আজেবাজে কথা বন্ধ করুন।”