Alipurduar: বাগানে এখন সেয়ানে সেয়ানে লড়াই, মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন হেভিওয়েটরা
Alipurduar Loksabha: এরপর ১৬ এপ্রিল অভিষেক আলিপুরদুয়ারে যাচ্ছেন। তিনি তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে আলিপুরদুয়ার শহরে রোড শো করবেন। ভোটের মুখে আলিপুরদুয়ারে মুখ্যমন্ত্রী দুটি সভা করবেন। পিছিয়ে নেই গেরুয়া শিবিরও।
সুজিত রায়: ভোটের মুখে উত্তরবঙ্গে আবারও মমতা-অভিষেক। আজ, শুক্রবার কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে, জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম দফা নির্বাচনের আর এক সপ্তাহ বাকি। ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দল গুলি প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আলিপুরদুয়ারের জটেশ্বরে অভিনেতা সাংসদ দেব এসে রোড শো করে গিয়েছেন। আলিপুরদুয়ারে শাসক-বিরোধী উভয় দলের হেভিওয়েট নেতানেত্রীরা প্রচারে আসছেন।
শুক্রবার কালচিনির নিমতিতে জনসভা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ডুয়ার্সের চালসা তে এসে থাকবেন। পরদিন মুখ্যমন্ত্রীর দুটি সভা রয়েছে।একটি কোচবিহারের দিনহাটা, অপরটি আলিপুরদুয়ারের নিমতি। সূত্রের খবর, ওই দিন অর্থাৎ শুক্রবার কুমারগ্রামে সভা করবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।লোকসভা ভোটের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ঠিক ততটাই শাসক ও গেরুয়া শিবিরের মধ্যে চ্যালেঞ্জ বাড়ছে।
আলিপুরদুয়ার লোকসভা আসন মূলত চাবলয় অধ্যুষিত। শাসক ও গেরুয়া শিবির ইতিমধ্যে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। প্রচারের শুরুতে হাইপ্রোফাইল নেতা নেত্রীরা না আসায় প্রচার তেমন জমে ওঠেনি। এবার আসছেন হেভিওয়েটরা। স্বাভাবিকভাবেই প্রচার এবার তুঙ্গে। ভোটের সাতদিন আগেই নেতা নেত্রীরা রোড শো ও জনসভা করবেন। ১৫ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রীর ফের জনসভা রয়েছে ফের মাদারিহাটে। তার দিন দুয়েক বাদে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে আলিপুরদুয়ারে সভা করবেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। যদিও যোগীর সভার তারিখ পরিবর্তন হতে পারে বলে জানিয়েছে বিজেপি।
এরপর ১৬ এপ্রিল অভিষেক আলিপুরদুয়ারে যাচ্ছেন। তিনি তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে আলিপুরদুয়ার শহরে রোড শো করবেন। ভোটের মুখে আলিপুরদুয়ারে মুখ্যমন্ত্রী দুটি সভা করবেন। পিছিয়ে নেই গেরুয়া শিবিরও। বিজেপি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, যোগী আদিত্য নাথকে এনে সভা করার জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছিল। যোগী আদিত্য নাথের সভা চূড়ান্ত হলেও অন্যদের এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গের মাটি পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় দাঁত কামড়ে উত্তরে পড়ে রয়েছে তৃণমূল। ২০১৯ সালে এই কেন্দ্রে চূড়ান্ত লড়াই হয়েছিল। বিজেপি প্রার্থী জন বার্লা ২,৪৩,৯৮৯ বেশি ভোটে তৃণমূলের দশরথ তিরকিকে হারিয়েছিলেন। তারপর বিধানসভা নির্বাচনেও আলিপুরদুয়ারের বেশিরভাগ আসন ছিল বিজেপির দখলে। তবে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে পরিস্থিতি বদলেছে। বেশিরভাগ আসন যায় তৃণমূলের দখলে। আলিপুরদুয়ারে মূলত চা বলয় অধ্যুষিত এলাকাগুলি। কিছুটা কৃষিপ্রধানও বটে। এলাকায় ১১৬টি চা বাগান রয়েছে। তার ৪০ শতাংশ রাজবংশী ভোট, ২৭ শতাংশ আদিবাসী আর ৭ শতাংশ সংখ্যালঘু। বিজেপি পাখির চোখ করেছে রাজবংশী ও আদিবাসী ভোট। কারণ তৃণমূলের দখলেই রয়েছে সংখ্যালঘুদের ৭ শতাংশ ভোট। যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এবার উত্তরে বিজেপিও খানিকটা চাপেই। কারণ টিকিট না পেয়ে জন বার্লা ক্ষোভ উগরেছেন ভোটের মুখে। পরে অবশ্য হাওয়া কিছুটা হলেও ঘুরেছে। বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গার পাশে দেখা গিয়েছে বার্লাকে। সেক্ষেত্রে তৃণমূলের মুখ প্রকাশ চিক বরাইক বেশ কিছুটা আত্মবিশ্বাসী। কারণ তাঁর দাবি, শেষ কয়েক মাসে সেখানকার বাসিন্দারা একশো দিনের কাজ টাকা পেয়েছেন। লক্ষ্মীর ভান্ডার পেয়েছেন, মাথায় ছাদ পেয়েছে। এদিকে, বার্লা সেভাবে তাঁর বার্লা সেভাবে তাঁর দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি। ফলে আলিপুরদুয়ারে এখন সেয়ানে সেয়ানে টক্কর!