Durga Puja: নিজের হাতে দুর্গাপ্রতিমা গড়ে নিজেই পুজো করে ১১ বছরের আরব্য
Alipurduar: আরব্য সান্যাল বলে, "আমার ইচ্ছা নিজে হাতে ঠাকুর তৈরি করে পুজো করব। তাই করছি। ঠাকুরের সেবা করতে আমার ভাল লাগে। আমি বড় হয়ে পুরোহিত হতে চাই।" রথের পর থেকে এবার মূর্তি তৈরি শুরু করেছিল সে। আড়াই তিনমাসে মূর্তি গড়ে, রং-সাজ সবই সারা।
আলিপুরদুয়ার: ৮ বছর বয়স থেকে নিজের হাতে প্রতিমা গড়ে আলিপুরদুয়ারের আরব্য সান্যাল। এখন বয়স ১০। নিজের গড়া প্রতিমায় সে নিজেই করে প্রাণ প্রতিষ্ঠা। সাবলীলভাবে বলে যায় চণ্ডীমন্ত্রও। আলিপুরদুয়ার পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে এবার পুজোয় সমস্ত আলো কেড়েছে এই আরব্যই। তাকে এক ডাকে চেনে সকলে। বাড়ির লোকেরা তো বটেই, পাড়াতেও সকলে তাকে নিয়ে বেশ গর্বিত। এবার তার তৈরি ঠাকুর দেখতে রীতিমতো ভিড় দেখা গিয়েছে প্যান্ডেলে। আরব্য পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। তৃতীয় শ্রেণি থেকেই নিজে হাতে মাটি দিয়ে তৈরি প্রতিমা তৈরি করে সে। এবার যে দুর্গা প্রতিমা সে তৈরি করেছে, তা বড়দেরও হার মানাবে।
আরব্য সান্যাল বলে, “আমার ইচ্ছা নিজে হাতে ঠাকুর তৈরি করে পুজো করব। তাই করছি। ঠাকুরের সেবা করতে আমার ভাল লাগে। আমি বড় হয়ে পুরোহিত হতে চাই।” রথের পর থেকে এবার মূর্তি তৈরি শুরু করেছিল সে। আড়াই তিনমাসে মূর্তি গড়ে, রং-সাজ সবই সারা।
আরব্যর না রেখা সান্যাল বলেন, “আমার খুবই ভাল লাগে, গর্ব হয়। ও এত নিষ্ঠাভরে পুজো করে। রথযাত্রা, কালীপুজো, লক্ষ্মীপুজো, সরস্বতী পুজো সবই নিষ্ঠার সঙ্গে করে। পাড়ায় কারও বাড়িতে পুজো হলে ওকে নিয়ে যায় পুজোর জন্য।” রেখাদেবী জানান, ছেলে বড় হয়ে পুরোহিত হলে তাতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। তবে শুধু পুজোআর্চা নয়, পড়াশোনা, গানবাজনা, তবলার তালিম সবই নিতে হয় আরব্যকে। মায়ের বলাই আছে, রোজ এক ঘণ্টা করে সময় পাবে প্রতিমা তৈরিতে।