Elephant Death: ঘুটঘুটে অন্ধকারে শুঁড়ে ইলেকট্রিক শক! খাবার খুঁজতে বেরিয়ে মৃত্যু হাতির
Elephant Death in Alipurduar: স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই সুপারি বাগানের ভিতরে অনেকটা নীচ দিয়ে গিয়েছে বিদ্যুতের তার। অনুমান করা হচ্ছে, বিদ্যুতের তারে শুঁড় দেওয়ার কারণেই মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বুনো দাঁতালের। আজ সকালে স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে দেখতে পান বিষয়টি।
আলিপুরদুয়ার: খাবার খুঁজতে খুঁজতে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছিল বুনো হাতি। আজ সকালে সুপারি বাগানের মধ্যে থেকে ওই দাঁতালের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। খাবারের সন্ধানে বেরিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি হল বুনো হাতির। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ব্লকের উত্তর মেন্দাবাড়ি এলাকায়। রাতের অন্ধকারে খাবারের খোঁজে ওই এলাকায় একটি সুপারি বাগানে ঢুকে পড়েছিল সে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই সুপারি বাগানের ভিতরে অনেকটা নীচ দিয়ে গিয়েছে বিদ্যুতের তার। অনুমান করা হচ্ছে, বিদ্যুতের তারে শুঁড় দেওয়ার কারণেই মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বুনো দাঁতালের। আজ সকালে স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে দেখতে পান বিষয়টি। সুপারি বাগানের মধ্যে বিশালাকায় ওই হাতিটির নিথর দেহ পড়েছিল।
বিষয়টি দেখামাত্রই স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেন বন দফতরে। এরপর জলদাপাড়া বনবিভাগের বনকর্মীরা পৌঁছে যান ঘটনাস্থলে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে বনকর্মীরাও অনুমান করছেন বিদ্যুৎস্পষ্ট হয়েই মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বুনো হাতিটির। এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা অবশ্য এই প্রথম নয়। এর আগেও এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে এই এলাকায়। মাস খানেক আগেও এই চত্বরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক বুনো হাতির মৃত্যু হয়েছিল। এরপর ফের এক বুনো হাতির মৃত্যু হল কালচিনির উত্তর মেন্দাবাড়ির এই সুপারি বাগানে।
উল্লেখ্য, এর আগেও আলিপুরদুয়ার জেলায় একাধিক হাতির মৃত্যু হয়েছে। কখনও কোনও অঘটনে, কখনও আবার চোরা শিকারিদের তাণ্ডবে। চলতি বছরের অগস্টেই আলিপুরদুয়ার জেলায় সংকোশ নদীর ধার থেকে কয়েক দিনের ব্যবধানে হাতির দেহাংশ পাওয়া গিয়েছিল। প্রথমে উদ্ধার হয়েছিল এক হাতির কাটা মুন্ডু। তার কয়েক দিনের মধ্যে পাওয়া গিয়েছিল হাতির কাটা পা।