KLO: দিতে হবে ১০ লাখ টাকা! পুজোর মধ্যেই KLO-র হুমকি চিঠি ব্যবসায়ীকে
Alipurduar: তৃতীয়ায় হঠাৎ করে কেএলও-র থেকে হুমকি চিঠি এসেছে তাঁর কাছে। ১০ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে অসম-বাংলা সীমানা এলাকার বাসিন্দা ওই ব্যক্তির কাছে। বলা হয়েছে, ১০ দিনের মধ্যে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। চিঠি পাঠানো হয়েছিল হোয়াটঅ্যাপ মারফত।
আলিপুরদুয়ার: পুজোর দিনগুলিতে কোথায় আনন্দ, উচ্ছ্বাসে মেতে উঠবেন, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাবেন… সেসব এখন শিকেয় উঠেছে আলিপুরদুয়ারের বিনয় দাসের। ছুটে বেরাচ্ছেন পুলিশের দুয়ারে দুয়ারে। তৃতীয়ায় হঠাৎ করে কেএলও-র থেকে হুমকি চিঠি এসেছে তাঁর কাছে। ১০ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে অসম-বাংলা সীমানা এলাকার বাসিন্দা ওই ব্যক্তির কাছে। বলা হয়েছে, ১০ দিনের মধ্যে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। চিঠি পাঠানো হয়েছিল হোয়াটঅ্যাপ মারফত।
মহালয়ার আগের দিন (১৪ অক্টোবর) সেই হুমকি চিঠি পাঠানো হয়েছিল। যদিও সেটি ওই সময়ে খেয়াল করেননি ট্রাক ব্যবসায়ী বিনয়বাবু। চিঠিটি তাঁর নজরে আসে ১৮ তারিখ। তৃতীয়ায় বিষয়টি নজরে আসতেই মাথায় হাত পড়েছে বিনয়বাবুর। এরপর থেকেই ভয়ে, আতঙ্কে সিঁটিয়ে রয়েছে ওই পরিবার। ব্যবসায়ীর দাবি, বাংলাদেশের একটি নম্বর থেকেও তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, অতীতে এককালে এই অসম-বাংলা সীমানা এলাকার এই গ্রাম ছিল কেএলও আন্দোলনের অন্যতম ঘাঁটি। কেএলও সুপ্রিমো জীবন সিং-এর বোন এই গ্রামেরই বাসিন্দা। যদিও তিনি এখন ফিরে এসেছেন সমাজের মূল স্রোতে। ২০০৩ সালে ভুটানে এক সেনা অভিযানের সময় ধরা পড়েছিলেন জীবন সিংয়ের বোন। দীর্ঘদিন জেলে ছিলেন। পরবর্তী সময়ে আত্মসমর্পণ করা কেএলও জঙ্গি ও লিঙ্কম্যানদের চাকরির ব্যবস্থা করে রাজ্য সরকার। জীবন সিংয়ের বোনও এখন সমাজের মূল স্রোতে ফিরে পুলিশের হোমগার্ড পদে চাকরি করছেন।
আলিপুরদুয়ারের বক্সিরহাট থানায় বিনয়বাবু ইতিমধ্যেই লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন বিষয়টি নিয়ে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যে চিঠিটি বিনয়বাবুর কাছে এসেছে, তাতে লেখা রয়েছে অনুদান হিসেবে তাঁর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে।
চিঠি পাওয়ার পর থেকেই কার্যত ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছে বিনয়বাবু ও তাঁর পরিবারের লোকেরা। ওই ব্যবসায়ী বলছেন, “কেএলও-র নাম করে দশ লক্ষ টাকা দাবি করে আমার মোবাইলে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ফোন করে বলা হয়েছে, তিন দিনের মধ্যে সেই টাকা দেওয়া না হলে, প্রাণে মেরে ফেলা হবে। তবে কোথায়, কাকে সেই টাকা দিতে হবে সেই বিষয়ে কিছু জানায়নি।”