আলিপুরদুয়ার: জারি রয়েছে ভোটের লড়াই। প্রচারেরও বেরিয়ে পড়েছেন শাসক থেকে বিরোধী সব পক্ষ। কিন্তু আলিপুরদুয়ারের বাম-বিজেপি-তৃণমূল প্রার্থীরা একে অপরের বিরোধিতা করলেও, তাঁরা কিন্তু পরস্পর-পরস্পরের আত্মীয়। কীভাবে? প্রসঙ্গত, আলিপুরদুয়ার থেকে আসন্ন লোকসভা ভোটে বিজেপির হয়ে লড়াই করবেন মনোজ টিজ্ঞা। আর তৃণমূলের হয়ে দাঁড়িয়েছেন প্রকাশ চিক বড়াইক। অপরদিকে, বামেরা ভরসা রেখেছে মিলি ওঁরাও-এর উপর। কিন্তু এরা সকলেই দূর সম্পর্ক হলেও একে অন্যের আত্মীয়।
প্রাক্তন সাংসদ তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মনোহর তিরকে ওরফে মিলি ওরাও এর বাবা জানালেন, “বিজেপি প্রার্থী আমাদের আত্মীয়। তৃণমূল প্রার্থী প্রকাশ চিক বরাইকের বাবা ও আমার বন্ধু।” তিনি বলেন, “মনোজ টিজ্ঞার শাশুড়ির মামা হলাম আমি।” গতকাল প্রাক্তন মন্ত্রীর বাড়িতে আসেন মনোজ। প্রণাম করেন। এবং আশীর্বাদ নেন। যদিও এ নিয়ে বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিজ্ঞা বলেন, “বাম প্রার্থীর বাবা আমার শাশুড়ির মামা।আত্মীয়তার সম্পর্ক দলের চেয়ে বেশি। গণতন্ত্রে ভোটে দাঁড়ানো সকলের অধিকার আছে।” অন্যদিকে প্রাক্তন আর এসপির দাপুটে প্রাক্তন মন্ত্রী মনোহর তিরকে বলেন, “মনোজ আমাদের আত্মীয় হয় তাই ওকে আশীর্বাদ করেছি।মেয়ে প্রার্থী। তাতে কী? ভোটে লড়াই তো হবে। তিনি বলেন, “তৃণমূল প্রার্থী প্রকাশ চিক বরাইকও আমার আত্মীয়।”
এদিন লোকসভা নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন বামফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী মিলি ওরাওঁ। মঙ্গলবার জেলা আর.এস.পি কার্যালয় অফিস থেকে এক মিছিল বের করে বক্সা ফিডার রোড ধরে জেলার প্রশাসনিক ভবন ডুয়ার্সকন্যায় গিয়ে শেষ হয়। এদিন মিলি ওরাওঁ বলেন, “কেন্দ্র এবং রাজ্যের দুর্নীতিই থাকবে ভোট প্রচারের মূল ইস্যু। এছাড়াও চা-বাগানের একাধিক বঞ্চনার ইস্যু নিয়েও ভোট প্রচার করা হবে। এদিন মিলি ওরাওঁ এর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তাঁর বাবাও। এছাড়াও এদিন জেলা সিপিআইএম সম্পাদক কিশোর দাসকেও এই মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় লক্ষ্য করা গিয়েছে। উল্লেখ্য ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে মিলি ওরাওঁ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেছিলেন।যদিও, তিনি জিততে পারেননি।