Alipurduar University: পালিত হয়েছে প্রথম প্রতিষ্ঠা দিবস, কিন্তু উপাচার্য ছাড়া উপস্থিত নেই কেউ! বেহাল দশা বিশ্ববিদ্যালয়ের
Alipurduar: একবছরে উপাচার্য ছাড়া এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও অধ্যাপক বা কর্মী নেই।
আলিপুরদুয়ার: আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের (Alipurduar University) প্রথম প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হয়েছে। অথচ একবছরে উপাচার্য ছাড়া এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও অধ্যাপক কর্মী নেই। যার কারণে নানা সংকটে এই বিশ্ববিদ্যালয়।
এদিন, শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। কথা বলেন উপাচার্যের সঙ্গে। তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। মন্ত্রী পরেশ বাবু বলেন,”সমস্যার কথা শুনলাম। অনেক অধ্যাপক অবসর নেবেন। আমরা দেখছি। যত তাড়াতাড়ি হয়,বিষয়টিকে দেখার।”
উপাচার্য্য মহেন্দ্রনাথ রায় বলেন, “বিকাশ ভবনে কথা বলেছি। অনেক শিক্ষক অবসর নেবেন। তারা কলেজ থেকে অবসর নিচ্ছেন না বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিচ্ছেন। গবেষণার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। এখানে ছাত্র ছাত্রীদের সমস্যা হচ্ছে। মন্ত্রী শুনলেন।উনি আশ্বাস দিলেন।পিজিতে ক্লাসের ক্ষেত্রে সমস্যা নেই।শুধু পরিবর্তনটা হচ্ছে না।”
আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের পালকে যুক্ত হয়েছে ১৪ টি ট্র্যাডিশনাল সাবজেক্ট ও নয়টি ম্যানেজমেন্ট সাবজেক্ট। বিশ্ববিদ্যালয় চালু হওয়ার সময় মাত্র ৪ টি সাবজেক্ট অনুমোদন পেয়েছিল।
আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ডঃমহেন্দ্র নাথ রায় সাংবাদিক দের জানান,”অতি অল্প সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক কটি সাবজেক্ট পড়ানোর অনুমতি পেয়েছে। জব ওরিয়েন্ট কোর্স পড়ানোর জন্য ও উদ্যেগী হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে ১৪ টি পিজি সাবজেক্টে ভর্তি হয়েছে ছাত্র ছাত্রীরা। ৯ টি ম্যানেজমেন্ট সাবজেক্ট চালু হয়েছে। ভর্তিও হয়েছে।”
বিশ্ববিদ্যালয় পরিকাঠামোর উন্নয়নে ৪০ কোটি টাকা বাজেট নেওয়া হয়েছিল।এটির অনুমোদন হয়নি।যারা কলেজে পড়াতেন তারাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করছেন।
আলিপুরদুয়ার চা বলয়,পর্যটন এলাকা। এখানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে টি,ফরেস্ট্রি,ট্যুরিজম নিয়ে পড়ানো শুরু হয়েছে। কিন্তু নেই পরিকাঠামো। এমনকী অধ্যাপক, কর্মী না থাকায় সংকটে বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রসঙ্গত, গতকাল জেলায় আসেন শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। তিনি জেলায় রাজবংশী ভাষায় স্কুল খোলার প্রতিশ্রুতি দেন। বলেন, “আমাদের এখানে রাজবংশী ভাষার স্কুল ১ লা জানুয়ারী থেকে চালু হওয়ার কথা ছিল।কিন্তু জমি হস্তান্তরিত হয়নি।যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেই বিষয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।” পাশাপাশি এও জানান, “আলিপুরদুয়ারে ৮ টি স্কুল রয়েছে।সব জেলাতেই সমস্যা হচ্ছে।জঙ্গলমহলে স্কুল ঘরগুলি হাতির হানায় ভেঙে যাচ্ছে। যদি কাঠের ঘর করা যায় সে জন্য অনুরোধ করেছিল।এ বিষয়ে একটি তদন্তকারী দল আসবে।”
আরও পড়ুন: Shootout in Asansol: চলছিল অনলাইন কোচিং ক্লাস, আচমকা গুলির শব্দে কেঁপে উঠল এলাকা!