TMC: মদ খেয়ে বিয়েবাড়িতে ঝামেলা, নাম জড়াল তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির ভাইয়ের
Alipurduar News: যদিও এই সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন রিনা শা নামে ওই তৃণমূল নেত্রী।
আলিপুরদুয়ার: তৃণমূলের অন্তর্কলহ এবার বিডিও অফিসে। আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) কালচিনি বিডিও অফিসে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে হায় হায় স্লোগান তুললেন তৃণমূলেরই সদস্যরা। অভিযোগের আঙুল জয়গাঁ-২ তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি রিনা শা-এর ভাইয়ের দিকে। ফলে তা রং নিয়েছে রাজনীতির। অভিযোগ, গত ২২ ফেব্রুয়ারি বুধবার এক অনুষ্ঠানে জয়গাঁ সুপারর্মাকেট এলাকার বাসিন্দা সঞ্জিত শা ও জয়গাঁ-২ অঞ্চল সভাপতি রিনা শা-এর ভাই অজয় শা-এর মধ্যে বচসা বাধে। অভিযোগ, সে সময় দু’জনই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। অভিযোগ, এই ঝামেলা চলাকালীন সঞ্জিতের বাড়ির লোকজন তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যান।
অভিযোগ, সেদিন রাতেই রিনা তাঁর ছেলে ও স্বামী এবং বেশ কিছু লোকজন নিয়ে সঞ্জিতের বাড়িতে চড়াও হন। তাঁকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। এমনও অভিযোগ, এরপর সঞ্জিতকেই আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। সঞ্জিতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, এ নিয়ে থানায় তাঁরা অভিযোগ জানাতে গেলে তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এরপরই শুক্রবার কালচিনি বিডিও অফিসে এসে বিক্ষোভ দেখান সঞ্জিতের বাড়ির লোকজন। বিচার চেয়ে স্মারকলিপি জমা দেন বিডিওকে। অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা।
যদিও এই সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন রিনা শা। তিনি বলেন, “ওইদিন আমি বা আমার পরিবারের কেউই সঞ্জিতের বাড়ি যাইনি। বরং সঞ্জিতই এক বিয়ের অনুষ্ঠানে মদ্যপ অবস্থায় এসে ঝামেলা করেন।” সেই সময় তাঁরা সঞ্জিতকে বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করেন বলে দাবি করেছেন। এমনকী পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ সঞ্জিতকে আটক করলেও পরদিনই ছেড়ে দেয়। রিনা শা-এর দাবি, এলাকায় তিনি ভাল কাজ করেন। তাই তাঁকে কলুষিত করতে এসব বলা হচ্ছে।
এদিকে এই ঘটনায় অভিযোগকারী সঞ্জিত শা-ও তৃণমূল করেন বলেই স্থানীয়দের দাবি। তবে রিনা শা এ বিষয়ে বলেন, “অভিযোগকারীরা বলছেন, তাঁরা তৃণমূল কর্মী। যদি তৃণমূলই করেন, তাহলে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি, জেলা সভাপতির কাছে অভিযোগ জানাতে পারতেন। কিন্ত তা করেননি। আমাকে বদনামে ষড়যন্ত্র সব।” বিজেপির দাবি, রাজ্যজুড়েই তৃণমূলের এই অবস্থা।