Balurghat: আরও কাছে বাংলাদেশ? শীঘ্রই শেষ হবে নতুন রুটের অপেক্ষা? বালুরঘাটে রেল প্রকল্পের কাজ নিয়ে নতুন আশার আলো

Balurghat: রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগের রাস্তা আরও সুগম করতে বালুরঘাট-হিলি রেললাইন সম্প্রসারণের ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘোষণার পর জোরকদমে শুরু হয়েছিল কাজও। কিন্তু. কাজ শুরুর পর আচমকা সব থমকে যায়।

Balurghat: আরও কাছে বাংলাদেশ? শীঘ্রই শেষ হবে নতুন রুটের অপেক্ষা? বালুরঘাটে রেল প্রকল্পের কাজ নিয়ে নতুন আশার আলো
প্রতীকী ছবি Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 16, 2024 | 3:16 PM

বালুরঘাট: অজানা কারণে বন্ধ হয়েছিল বালুরঘাট-হিলি রেললাইন সম্প্রসারণের কাজ৷ সেই সময় বেশ কয়েকটি রেল ব্রিজের কাজও শুরু হয়েছিল। মাঝপথে অজানা কারণে সেই কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। যা নিয়ে বিস্তর চাপাউতোরও হয়। এরপর কেটে গিয়েছে প্রায় ১২ বছর। শেষে মাঠে নামেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। নতুন করে কেন্দ্র থেকে টাকা বরাদ্দ করান। কিছুদিন আগেই শুরু হয়ে যায় জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া। যদিও সেখানেও জট। তা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। আপাতত সব জমি অধিগ্রহণ না হলেও অবশেষে বন্ধ থাকা সেই কাজ শুরু করল রেল। বালুরঘাট ব্লকের খিদিরপুর এলাকায় রেলের জমি ফাঁকা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মাটি কাটা মেশিন দিয়ে ভাঙা হচ্ছে ঘরবাড়ি। আবার অনেকে নিজে থেকেই ঘর বাড়ি ভেঙে নিচ্ছেন। খুব দ্রুত ব্রিজের তৈরির কাজও শুরু হবে বলে জানা যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগের রাস্তা আরও সুগম করতে বালুরঘাট-হিলি রেললাইন সম্প্রসারণের ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘোষণার পর জোরকদমে শুরু হয়েছিল কাজও। কিন্তু. কাজ শুরুর পর আচমকা সব থমকে যায়। অবশেষে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের তত্ত্বাবধানে ফের রেলের কাজ শুরু হয়। রেলের জন্য টাকা বরাদ্দ করা হয়। ওই টাকায় জমি অধিগ্রহণের কাজ ও শুরু হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের তরফে ৩০ শতাংশ জমি ইতিমধ্যেই রেলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে খিদিরপুর মৌজার বেশ জমি রয়েছে। বালুরঘাটের খিদিরপুর এলাকায় বড় রেলের ব্রিজ তৈরি হওয়ার কথা রয়েছে। দ্রুত আত্রেয়ী নদীর উপরেও কাজ শুরু হবে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে নদীর পাশে রয়েছে বেশ কিছু বসতবাড়ি। তাঁদের হাতে ইতিমধ্যেই জমি হস্তান্তরের টাকা তুলে দিয়েছে রেল। খালি হয়েছে বাড়ি। এবার সেই বাড়িগুলিই ভাঙার কাজ শুরু করল রেল। 

এদিন ওই এলাকায় যান রেলের উচ্চপদস্থ ইঞ্জিনিয়ররা। যদিও বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের দাবি, জেলা প্রশাসনের অসহযোগিতার জন্যই জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ করা হচ্ছে না। তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশও করেন। যদিও জেলা শাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, “জমি অধিগ্রহণের অনেকটা কাজই শেষ। রেলের হাতে তুলে দেওয়াও হয়েছে। চলতি মাসে আরও অনেকটা কাজ হবে।”