Vice chairman dead body recovered: ভাইস চেয়ারম্যানের দেহের পাশে পড়ে আড়াই পাতার নোট, ব্ল্যাকমেলিংয়ের জেরে আত্মহত্যা?

Vice chairman dead body recovered: সুইসাইড নোট নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু না বললেও মৃত ভাইস চেয়ারম্যানের ছেলে সার্থক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "কয়েকজনের নাম লিখে রেখে গিয়েছেন বাবা। তাঁদের মধ্যে মহিলা ও পুরুষ রয়েছেন। তাঁরা বাবার উপর মানসিক চাপ দিতেন।"

Vice chairman dead body recovered: ভাইস চেয়ারম্যানের দেহের পাশে পড়ে আড়াই পাতার নোট, ব্ল্যাকমেলিংয়ের জেরে আত্মহত্যা?
কান্নায় ভেঙে পড়েছেন প্রতিবেশী ও পরিজনরা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 16, 2024 | 4:44 PM

ব্যারাকপুর: উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে বাড়ছে জল্পনা। গলায় দড়ি দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ। কিন্তু, কী কারণে আত্মহত্যা করলেন ভাইস চেয়ারম্যান সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়? মৃতদেহের পাশ থেকে আড়াই পাতার একটি সুইসাইড নোট পেয়েছে পুলিশ। সুইসাইড নোটে চার জনের নাম লেখা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

২ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার তৃণমূল ভাইস চেয়ারম্যান। তারপর শুক্রবার বাড়ি ফিরে আসেন। গতকাল বিকেল ৫টা থেকে ফের তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। চারদিকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। কিন্তু, বাড়ির চিলেকোঠায় গতকাল থেকে কেউ দেখেননি। এদিন বাড়ির চিলেকোঠায় উঁকি মারতেই সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। যে বাড়ি থেকে ভাইস চেয়ারম্যানের দেহ উদ্ধার হয়, সেই বাড়িতে গত চার বছর ভাড়ায় রয়েছেন সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবার।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, “খুবই ভাল মানুষ ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান। কী কারণে আত্মহত্যা করলেন, তা বুঝতে পারছি না।” স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রতিবেশীরা অভিযোগ করেন, কয়েকজন মোবাইলে ফেক ভিডিয়ো দেখিয়ে ভাইস চেয়ারম্যানকে ব্ল্যাকমেল করত। তাঁর কাছ থেকে টাকা নিত। তার জেরেই আত্মহত্যা করেছেন সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।

সুইসাইড নোট নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু না বললেও মৃত ভাইস চেয়ারম্যানের ছেলে সার্থক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কয়েকজনের নাম লিখে রেখে গিয়েছেন বাবা। তাঁদের মধ্যে মহিলা ও পুরুষ রয়েছেন। তাঁরা বাবার উপর মানসিক চাপ দিতেন। টাকা পয়সা এসব নিয়ে। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত নিশ্চয় হবে। এটুকু বলতে পারি, কয়েকজন বাবার এই পরিণতির জন্য দায়ী।”

সুইসাইড নোটে কী লেখা রয়েছে, তা নিয়ে বিশদে কিছু বলতে চাইলেন না ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি নর্থ গণেশ বিশ্বাস। তিনি বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে সবকিছু রয়েছে। একটা নোট পাওয়া গিয়েছে, সেটা আমরা খতিয়ে দেখছি। এখনই এর থেকে বেশি কিছু বলা যাবে না।”