Arup Chakraborty: ‘সংযত হতে হবে, ব্যবহার ভাল করুন’, সাগরদিঘি থেকে শিক্ষা নিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই কর্মীদের পাঠ অরূপের
Arup Chakraborty: এই পরিস্থিতিতে সামনের গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে আগে থেকেই দলীয় কর্মীদের পাঠ পড়াতে চাইছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে দলের কর্মীদের ব্যবহারে যাতে এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি না হয়, সেজন্য আগেভাগেই দলীয় কর্মীদের আচরনবিধি বেঁধে দিতে চাইছে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব।

বাঁকুড়া: সাগরদিঘি উপনির্বাচনে ধাক্কা খেয়েছে শাসক। ইতিমধ্যেই হারের কারণ নিয়ে একেবারে শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যেই শুরু হয়েছে কাটাছেঁড়া। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর একেবারে ঘরোয়া আলোচনাতেই সংখ্যালঘু এলাকা নিয়ে প্রথম সারির নেতাদের পর্যালোচনার দায়িত্ব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে দলীয় কর্মীদেরও সংযত হওয়ার পাঠ পড়াচ্ছেন নেতৃত্ব। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে কোনও চোখ রাঙানি নয়। মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে দলের নেতাদের। প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে এই মর্মেই দলীয় কর্মীদের আচরণবিধি বেঁধে দিলেন বাঁকুড়ার তালডাংরার তৃনমূল বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী। কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনও রকমের দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া জেলায় পরপর ধাক্কা খেয়েছে ঘাসফুল শিবির। পরে পুরসভা নির্বাচনে ফল ভাল হলেও সম্প্রতি রাজ্যে আবাস ও নিয়োগ-সহ একের পর এক দুর্নীতির ঘটনা সামনে আসায় জেলায় অস্বস্তিতে শাসক দল। আর এই অস্বস্তিতে শেষ সংযোজন সাগরদিঘি উপ নির্বাচনের হার। অন্তত এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এই পরিস্থিতিতে সামনের গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে আগে থেকেই দলীয় কর্মীদের পাঠ পড়াতে চাইছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে দলের কর্মীদের ব্যবহারে যাতে এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি না হয়, সেজন্য আগেভাগেই দলীয় কর্মীদের আচরনবিধি বেঁধে দিতে চাইছে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। তালডাংরার তৃণমূল বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে প্রকাশ্য সভায় নিজের বিধানসভা এলাকার কর্মীদের বারবার সতর্ক করে দিলেন। অতীতে সিপিএম এর প্রসঙ্গ টেনে এনে তিনি বলেন, “আমাদের কর্মীরা কাউকে লাল চোখ দেখাবে না, মানুষের সাথে ভাল ব্যবহার করবে, বয়স্কদের সম্মান করবে।” বিধায়ক বলেন, “দলের নেতা কর্মীরা মানুষের কাজ করেন। কিন্তু কখনও কখনও কেউ কেউ মানুষের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করেন না বলে অভিযোগ আসে। ফের সেই অভিযোগ এলে অভিযুক্তকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় টিকিট দেওয়া হবে না।”
যদিও বিষয়টি নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিজেপি ও সিপিএম। বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারের দাবি, “এর অর্থ তৃণমূল কর্মীরা মানুষের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করছে না। মানুষের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এইভাবে সেই সম্পর্ক মেরামত করা যাবে না।” সিপিএম-এর জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অভয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “মানুষ বুঝতে পারছে এই সরকারটা চোরেদের সরকার। মানুষ একজোট হলে কী অবস্থা হতে পারে তা সাগরদিঘি দেখিয়ে দিয়েছে। তৃণমূল এখন ভয় পেয়ে এসব কথা বলছে।”
