Bankura Incident: মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র, বিতর্কে পুরপ্রধান

Bankura Incident: এই সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি খোলা ও তা পরিচালনার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় বাঁকুড়া পুরসভাকে। সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য এখনও পর্যন্ত প্রয়োজনীয় বাড়ি নির্মাণ হয়নি।

Bankura Incident: মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র, বিতর্কে পুরপ্রধান
বাঁকুড়ায় সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র ঘিরে বিতর্ক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 05, 2022 | 4:14 PM

বাঁকুড়া: মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ায় বিতর্কে বাঁকুড়ার পুরপ্রধান। বিরোধীদের অভিযোগ, মোটা অঙ্কের বাড়ি ভাড়া পাইয়ে দিতেই স্বজনপোষণ করছেন পুরপ্রধান। বিরোধীদের বক্তব্য, পুরপ্রধান মাসিক মোটা অঙ্কের বাড়ি ভাড়া পেতে নিজের মেয়ের বাড়িতে সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়েছেন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুরপ্রধান। বাঁকুড়া পুর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নত করার লক্ষে মোট ১০টি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলার অনুমোদন দেয় স্টেট আরবান ডেভলপমেন্ট এজেন্সি বা সংক্ষেপে সুডা।

এই সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি খোলা ও তা পরিচালনার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় বাঁকুড়া পুরসভাকে। সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য এখনও পর্যন্ত প্রয়োজনীয় বাড়ি নির্মাণ হয়নি। আপাতত ভাড়া বাড়িতে চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাঁকুড়া পুরসভা। বাঁকুড়া পুর এলাকার অন্যান্য ন’টি ওয়ার্ডের পাশাপাশি পুরপ্রধান অলকা সেন মজুমদারের নিজের ওয়ার্ড হিসাবে পরিচিত ১১ নম্বর ওয়ার্ডের খ্রীষ্টান ডাঙ্গা এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে চালু হয় একটি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

অভিযোগ, যে বাড়িটিতে ভাড়া নেওয়া হয়েছে, তা পুরপ্রধানের মেয়ের শ্বশুরবাড়ি। আর এতেই বিতর্ক। বিরোধীদের দাবি, পুরসভা থেকে প্রতি মাসে বরাদ্দ মোটা অঙ্কের ভাড়া মেয়েকে পাইয়ে দিতেই সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য ওই বাড়িটিকে নিজের প্রভাব খাটিয়ে বেছে নিয়েছেন পুরপ্রধান অলকা সেন মজুমদার।

পুরপ্রধানের সাফ বক্তব্য, সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নিজস্ব ভবন তৈরি না হওয়া পর্যন্ত ভাড়া বাড়িতেই এই পরিষেবা চালুর নির্দেশ দিয়েছিল সুডা। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে উপযুক্ত বাড়ি ভাড়ার জন্য চেয়েও মেলেনি। সেক্ষেত্রে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি রীতিমতো চুক্তিপত্র করে ১১ মাসের জন্য ভাড়া নিয়েছে পুরসভা। এক্ষেত্রে কোনওরকম স্বজনপোষণ বা প্রভাব খাটানোর বিষয় নেই।

স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, এগারো নম্বর ওয়ার্ডের যে ভবনে ওই সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি খোলা হয়েছে তা একেবারেই অনুপযুক্ত। পুরসভার তরফে সেভাবে এলাকায় প্রচারও করা হয়নি। গ্রামবাসীরা জানেনই না, সেখান থেকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে।