Suvendu Adhikari: ‘আপনার প্রয়োজন আছে’, শুভেন্দুকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করানোর পরামর্শ বাঁকুড়ার জেলা সভাপতির
Suvendu Adhikari: রাজ্যের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প বনাম কেন্দ্রের আয়ুস্মান ভারত প্রকল্প, এই ইস্যুতে বারবার বিতর্কে জড়িয়েছে রাজ্যে ও কেন্দ্রের শাসক দল। এবার সেই ইস্যুকে হাতিয়ার করেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে তীব্র বিঁধলেন তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি তারাশঙ্কর রায়।

বাঁকুড়া: প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে এবার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করিয়ে রাখার পরামর্শ তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি তারশঙ্কর রায়ের। তাঁর শুভেন্দুর এই কার্ড শীঘ্রই দরকার হবে। পাল্টা তৃণমূল নেতাকে আয়ুষ্মান ভারতের কার্ড করানোর পরামর্শ বিজেপির।
রাজ্যের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প বনাম কেন্দ্রের আয়ুস্মান ভারত প্রকল্প, এই ইস্যুতে বারবার বিতর্কে জড়িয়েছে রাজ্যে ও কেন্দ্রের শাসক দল। এবার সেই ইস্যুকে হাতিয়ার করেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে তীব্র বিঁধলেন তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি তারাশঙ্কর রায়। বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিক নির্যাতনের ইস্যুতে বুধবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার মাচানতলায় প্রতিবাদ মিছিল ও সভা করে তৃণমূল। সেই সভামঞ্চে বক্তব্য রাখতে উঠে মুখে না বললেও কোচবিহারে বিরোধী দলনেতার উপর আক্রমণের ঘটনাকে ইঙ্গিত করে তৃণমূলের জেলা সভাপতি বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী আপনি স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করে রাখুন। আপনার খুব তাড়াতাড়ি স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দরকার। আপনার সেই কার্ডের দরকার শুরু হয়ে গিয়েছে। বাংলার বিরুদ্ধে কথা বলায় আপনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়ে গেছে।”
এ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে উনি অনেক নোংরা কথা বলেন। বলেন স্বাস্থ্যসাথীতে পরিষেবা পাওয়া যায় না। তাই ওনাকে বলা হল কার্ড করুন। আপনারও এই কার্ডের প্রয়োজন হতে পারে। মানুষ মাত্রই শরীর অসুস্থ হয়।
তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতির এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে বিজেপি। বিজেপির কটাক্ষ তৃণমূলের জেলা সভাপতির আগে চিকিৎসার প্রয়োজন। বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রী শেখর দানা বলেন, “জেলা সভাপতিকে বলব আপনি আয়ুষ্মান ভারত কার্ড করা করে রাখুন। আমার কাছে অনেক রোগী আসে যাঁরা রাজ্যে চিকিৎসা করাতে করাতে দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। তাঁরা দেশের অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্যে চিকিৎসা করাতে যাচ্ছে। শুধু বাঁকুড়াতেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে নার্সিংহোমে গেলে আগেই ৫০ হাজার চাইবে। এটা দুর্গাপুর থেকে কলকাতা যেখানেই যান সেখানেই এই অবস্থা।”
