Awas Yojana: ‘যখন কোনও কাজ হয় না, পঞ্চায়েত বন্ধ করে দিন’, প্রধানকে হুঁশিয়ারি চন্দনা বাউরির
Awas Plus: বিধায়ককে বলতে শোনা যায়, 'পঞ্চায়েতে যখন কোনও কাজ হয় না, তখন বন্ধ করা হোক পঞ্চায়েত। আমরা তাহলে বিডিও-র সঙ্গে বুঝে নেব। আপনারা বসে আছেন কেন পঞ্চায়েতে?'
বাঁকুড়া: বাঁকুড়া-১ ব্লকের বিডিওকে সম্প্রতি চেয়ার ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক নিলাদ্রী শেখর দানা। এবার আবাসের তালিকা ঘিরে অসন্তোষ নিয়ে পঞ্চায়েত প্রধানকে হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গেল শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরিকে (BJP MLA Chandana Bauri)। মঙ্গলবার বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটির বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতে আবাসের অসন্তোষ নিয়ে একটি ডেপুটেশন দিতে গিয়েছিল বিজেপি। নেতৃত্বে ছিলেন বিধায়ক চন্দনা বাউরি। সেখানেই বিধায়ককে বলতে শোনা যায়, ‘পঞ্চায়েতে যখন কোনও কাজ হয় না, তখন বন্ধ করা হোক পঞ্চায়েত। আমরা তাহলে বিডিও-র সঙ্গে বুঝে নেব। আপনারা বসে আছেন কেন পঞ্চায়েতে?’
পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে চন্দনা বাউরি বলেন, “দেখা যাচ্ছে যাঁদের দোতলা দালান, সরকারি চাকরি করেন, তাঁদেরও তালিকায় নাম রয়েছে। কিন্তু যাঁদের মাটির বাড়ি, খড়ের চাল, টালির চাল, তাঁরা ঘর পাচ্ছেন না। সেই নিয়ে এবং একশো দিনের কাজের দুর্নীতি নিয়ে আমরা পঞ্চায়েতে ডেপুটেশন দিতে এসেছি। আমাদের প্রশ্ন, যাঁদের দোতলা দালান রয়েছে, তাঁরা কেন ঘর পাচ্ছেন? এক হাজারেরও বেশি বাড়ি এখানে ভগ্নপ্রায় দশায় পড়ে রয়েছে।”
যদি চন্দনা বাউরি আবাস সংক্রান্ত ক্ষেত্রে পঞ্চায়েতের গাফিলতির যে অভিযোগ তুলেছেন, তা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান চিত্তরঞ্জন মাজি। তিনি বলছেন, “সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। ওদের দলের পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে, তাই এটিকে ইস্যু করতে চাইছে। কোনও দুর্নীতি হয়নি। সার্ভেতে পঞ্চায়েতের কোনও স্টাফ যায়নি। সেখানে আমাদের কিছুই করার নেই। এই পঞ্চায়েত সবথেকে স্বচ্ছ পঞ্চায়েত। কেন্দ্রের অডিট, রাজ্যের অডিট… কোথাও কোনও অভিযোগ নেই আমাদের পঞ্চায়েতের নামে।”
চন্দনা বাউরির আবাস নিয়ে এই অভিযোগকে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বোর্ড বিশেষ গুরুত্ব দিতে না চাইলেও, মঙ্গলবারের এই ঘটনায় বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। প্রসঙ্গত, শুধু বাঁকুড়া জেলাতেই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আবাসের তালিকা যাচাই ঘিরে অসন্তোষের ছবি ধরা পড়েছে। কোথাও আবার আশাকর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভের ঘটনাও ঘটেছে।