Flood Situation: রাতেই আড়াই লক্ষ কিউসেকে পর্যন্ত ছাড়া হতে পারে জল, দামোদর পাড়ে বাড়ছে বন্যার ভয়

Flood Situation: সোমবার বিকাল থেকেই দুর্গাপুর ব্যরেজ থেকে ছাড়া জলের পরিমাণ ক্রমশ বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এখন দেড় লক্ষ কিউসেকের কাছাকাছি জল ছাড়া হলেও আজ সন্ধ্যার মধ্যে তা ধাপে ধাপে আড়াই লক্ষ কিউসেকের কাছাকাছি করা হতে পারে বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর।

Flood Situation: রাতেই আড়াই লক্ষ কিউসেকে পর্যন্ত ছাড়া হতে পারে জল, দামোদর পাড়ে বাড়ছে বন্যার ভয়
ভয় বাড়ছে গ্রামে গ্রামে Image Credit source: TV 9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 17, 2024 | 3:23 PM

বাঁকুড়া: দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে বাড়ছে জল ছাড়ার পরিমাণ। সূত্রের খবর, সন্ধ্যার মধ্যে জল ছাড়ার পরিমাণ ছুঁতে পারে আড়াই লক্ষ কিউসেকের সীমা। বন্যায় সব হারানোর আশঙ্কায় প্রহর গুনছে দামোদর পাড়ের মানুষ, সতর্ক প্রশাসনও। পশ্চিমের জেলাগুলিতে নিম্নচাপের বৃষ্টি কমে এলেও পড়শি ঝাড়খণ্ডে এখনও চলছে বৃষ্টি। তাতেই এ রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে নানা জায়গায়। ইতিমধ্যেই তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

দামোদরের উপরে থাকা মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার ক্রমশ জল ছাড়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করায় ধাপে ধাপে ছাড়া জলের পরিমাণ বৃদ্ধি করছে দুর্গাপুর ব্যরেজও। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এদিন সন্ধ্যার মধ্যে দুর্গাপুর ব্যরেজ থেকে ছাড়া জলের পরিমাণ ছুঁতে পারে আড়াই লক্ষ কিউসেকের সীমা। তেমনটা হলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। সেই আশঙ্কা করছেন বাঁকুড়া জেলার দামোদর পাড়ের অসংখ্য মানুষ। সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসনও। 

এই খবরটিও পড়ুন

সোমবার বিকাল থেকেই দুর্গাপুর ব্যরেজ থেকে ছাড়া জলের পরিমাণ ক্রমশ বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এখন দেড় লক্ষ কিউসেকের কাছাকাছি জল ছাড়া হলেও আজ সন্ধ্যার মধ্যে তা ধাপে ধাপে আড়াই লক্ষ কিউসেকের কাছাকাছি করা হতে পারে বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর। আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বাঁকুড়া জেলার দামোদর পাড়ের হাজার হাজার মানুষ। প্রশাসনিকভাবেও ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তৎপরতা। ইতিমধ্যেই দামোদর তীরবর্তী সোনামুখী ব্লকের নীচু এলাকা হিসাবে পরিচিত সমিতি মানা, উত্তর নিত্যানন্দপুর, পাণ্ডে পাড়া সহ বিভিন্ন গ্রামে হাই এলার্ট জারি করা হয়েছে। দামোদর তীরবর্তী এলাকাগুলিতে প্রশাসনের তরফে চলছে লাগাতার মাইকিং। বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে প্রশাসন সবদিক থেকে তৈরী রয়েছে। নীচু এলাকার মানুষদের যাতে দ্রুততার সাথে উঁচু জায়গায় তৈরী ত্রান শিবিরগুলিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তার সবরকম প্রস্তুতি থাকছে। সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে স্থানীয় ব্লক প্রশাসন, গ্রাম পঞ্চায়েত ও পুলিশকে। কিন্তু তারপরও বন্যায় সব হারানোর আশঙ্কা যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না এলাকাবাসীর।