Bankura: পুজোর নতুন জামা তো দূরের কথা! স্থায়ী ঠিকানাই নেই বাঁকুড়ার বন্যা দুর্গত মানুষদের

Flood: বাঁকুড়া জেলার কোতুলপুর, সোনামুখী, ইন্দাস পাত্রসায়ের, বড়জোড়া নিম্নচাপের ফলে দামোদর দ্বারকেশ্বর শালী সহ একাধিক নদীতে জল বেড়ে গিয়েছিল।

Bankura: পুজোর নতুন জামা তো দূরের কথা! স্থায়ী ঠিকানাই নেই বাঁকুড়ার বন্যা দুর্গত মানুষদের
ভাঙছে পাড়। বন্যা দুর্গত বাঁকুড়া
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 05, 2021 | 5:42 PM

বাঁকুড়া: সামনেই পুজো। কিন্তু খুশি নেই বন্য়া দুর্গত মানুষগুলো। চারিদিকে শুধু জল আর জল। শেষ সম্বলটুকু চলে গিয়েছে জলের তলায়। ক্ষতি হয়েছে একের পর এখ চাষের জমির। এর মধ্যে পুজো, নতুন জামা কাপড়ের কথা ভাবতেই পারেননা তাঁরা।

বাঁকুড়া জেলার কোতুলপুর, সোনামুখী, ইন্দাস পাত্রসায়ের, বড়জোড়া নিম্নচাপের ফলে দামোদর দ্বারকেশ্বর শালী সহ একাধিক নদীতে জল বেড়ে গিয়েছিল। যার ফলে প্লাবিত হয়েছিল একাধিক গ্রাম চাষের ক্ষতি নদীগর্ভে জমে যাওয়া এসব সমস্যায় পড়েছিল এই সব এলাকার মানুষজন। ইন্দাস ব্লকের ফতেপুর,ঘটনগর, সোনারপুর, ভাবাপুর, তেঁতুলমুড়ি,শেক ডাঙ্গা দামোদরের চড়ে এই সমস্ত গ্রাম গুলো আজ দিশেহারা অবস্থা মানুষজনের। সামনে পুজো আর পুজোর আগে পরিবারের মুখে একটু হাসি ফোটাতে আর হবেনা এই সব গ্রামের মানুষদের এমনটাই তারা জানেন। চাষের জমি এখন জলের তলায় কিভাবে সংসার চলবে কিভাবেই বা আবার আগের মতো তারা থাকতে পারবে জানা নেই কারোর।

গ্রামবাসীদের প্রশাসনের কাছে একটাই দাবি নদী পারে দিয়ে পার না বানালে পর আস্তে আস্তে গ্রামগুলি দারকেশ্বর গ্রাস করে নেবে।

উল্লেখ্য, নিম্নচাপের বৃষ্টির জেরে ভেসে গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একের পর এক জেলা। এখনও জল নামেনি একাধিক জায়গার। সমস্যায় রয়েছেন প্রচুর মানুষ। এরই মধ্যে ফের জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় মুকুটমণিপুর কংসাবতী সেচ দফতর।

জানা গিয়েছে, প্রায় ২৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল মুকুটমণিপুর কংসাবতী জলাধার থেকে।  বর্ধমানে জলস্তর রয়েছে ৪৩৪.২ ফুট ছিল সেই অবস্থায় যদি জল ছাড়া হয় ক্ষতির মুখে পড়বে ঘাটাল-পশ্চিম মেদিনীপুর সহ বিভিন্ন এলাকা এমনটাই আশঙ্কা করা হয়েছিল। এরপর একটানা অবিরাম বৃষ্টির ফলে এমনিতেই সৃষ্টি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। কংসাবতীর বিভিন্ন এলাকা ও বেশিরভাগ ব্রিজ চলে গিয়েছে জলের তলায়।

এছাড়াও, বাঁকুড়ায় ২২ ব্লকে জলমগ্ন হয়েছে। বাঁকুড়া বাইপাস,শ্রোতিঘাট, জুনবেদিয়া সহ বিভিন্ন জায়গায় বাড়ির ভিতরে জল ঢুকে গিয়েছে। সমস্যায় পড়তে হচ্ছে মানুষকে। বিষ্ণুপুরের পৌর এলাকাতেও জল ঢুকেছে।জানা গিয়েছে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ। বর্তমানে ১.৮৬ লক্ষ কিউসেক হারে জল ছাড়ছে দুর্গাপুর। এই পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে।

বাঁকুড়ার অধিকাংশ গ্রাম কৃষিনির্ভর। চাষবাস করেই জীবিকা নির্বাহ করেন বেশিরভাগ মানুষজন। জল বেড়ে গিয়ে ইতিমধ্যেই দ্বারকেশ্বরে ভাঙন শুরু হয়েছে। বাকি যে সকল নদীগুলি রয়েছে বৃষ্টিতে জল বেড়ে গিয়ে ফুলেফেঁপে উঠেছিল। তখন এলাকাবাসীরা দাবি জানিয়েছিল দ্রুত বাঁধ তৈরির। কারণ তা না হলে এই গ্রামের সব জমি জায়গা নদীর গর্ভে তলিয়ে যেতে পারে।

আরও পড়ুন: Tripura BJP MLA: দেবীপক্ষের শুরুতে যোগ দেবেন তৃণমূলে, মাথা ন্যাড়া হয়ে আদি গঙ্গায় ডুব ত্রিপুরার বিজেপি বিধায়কের