Joint Entrance Result: ‘পড়াশোনা ছাড়া বিশেষ কিছু করতাম না’, জয়েন্টে প্রথম হয়ে প্রথম প্রতিক্রিয়ায় বলছে কিংশুক
Joint Entrance Result: কোন বিষয়ে নিয়ে ভবিষ্যতে এগোতে চায় সেই প্রশ্ন করা হলে কিংশুকের অকপট জবাব, “বিজ্ঞানের বিষয় নিয়ে আমার বেশি আগ্রহ। মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং দু’টোই পেয়েছি। এবার যেটা ভাল লাগবে সেটা নিয়ে এগোব।”

বাঁকুড়া: জয়েন্ট এন্ট্রাসে ফের জেলার পড়ুয়াদের জয়জয়কার। রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সে প্রথম হয়েছে বাঁকুড়া জিলা স্কুলের কিংশুক পাত্র। বাঁকুড়া শহরের ইন্দ্রপ্রস্থ এলাকার বাসিন্দা কিংশুক ছোট থেকেই বাঁকুড়া জিলা স্কুলের ছাত্র। অত্যন্ত মেধাবী এই ছাত্র এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৪৭৭ নম্বর পেলেও মেধা তালিকায় স্থান পায়নি। এবার যেন সেই খেদ মিটল জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায়। সকলকে টপকে একেবারে রাজ্যে প্রথম হয়েছে কিংশুক। কিংশুকের এই সাফল্যে গর্বিত তার পরিবার। ডাক্তারি নাকি ইঞ্জিনিয়ারিং কোন পথে এগোবে তা এখনও সেভাবে ঠিক করেনি কিংশুক। তবে তার পছন্দের বিষয় অঙ্ক।
তবে কিংশুক বলছে, “এক থেকে দশের মধ্যে থাকব আশা করেছিলাম। তবে প্রথম হব আশা করেনি। খবরটা জানতে পেরে খুবই আনন্দ হচ্ছে। আমি মোটামুটি সারাদিন পড়াশোনা নিয়েই থাকতাম। পড়াশোনা ছাড়া বিশেষ কিছু করতাম না। অন্যদিকগুলো সেরকম দেওয়া হয়নি।”
কোন বিষয়ে নিয়ে ভবিষ্যতে এগোতে চায় সেই প্রশ্ন করা হলে কিংশুকের অকপট জবাব, “বিজ্ঞানের বিষয় নিয়ে আমার বেশি আগ্রহ। মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং দু’টোই পেয়েছি। এবার যেটা ভাল লাগবে সেটা নিয়ে এগোব। আলাদা করে আমার কোনও স্বপ্ন নেই। ভবিষ্যতে যেখানে কাজ করব সেটাই ভাল করে করতে চাই।” প্রসঙ্গত, এবার জয়েন্টে প্রথম দশের মেধাতালিকায় একেবারে ৪ জনই উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের। এমনকি শীর্ষ দু’টি স্থানেও জায়গা করে নিয়েছে জেলার ছাত্ররাই।
ইতিমধ্যেই আবার সফল পড়ুয়াদের শুভেচ্ছাবার্তাও জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল ছাত্রছাত্রীকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। তোমাদের অভিভাবক ও শিক্ষকদেরও আমি অভিনন্দন জানাই। তোমাদের আগামী দিনগুলি আরও সাফল্যমণ্ডিত হোক। তোমাদের ভাল কাজ দেশের মুখ আরও উজ্জ্বল করুক। এই প্রার্থনা করি।”





