Bankura: অসময়ে সেচ খালের জলে প্লাবিত বিঘার পর বিঘা ধান, কপালে হাত কৃষকদের

Bankura: বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের ডিহিপাড়া পঞ্চায়েতের অন্তর্গত রাঙামাটি গ্রামে। সেখানে বছরভর মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল ফলিয়েছিলেন কৃষকেরা।

Bankura: অসময়ে সেচ খালের জলে প্লাবিত বিঘার পর বিঘা ধান, কপালে হাত কৃষকদের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 07, 2022 | 1:44 PM

বাঁকুড়া: আচমকাই সেচ খালের তরফ থেকে আচমকাই ছাড়া হল জল। যার জেরে জলের তলায় তলিয়ে গেল প্রায় পঞ্চাশ বিঘা ধান জমি। যার জেরে কপালে ভাঁজ পড়েছে কৃষকদের।

বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের ডিহিপাড়া পঞ্চায়েতের অন্তর্গত রাঙামাটি গ্রামে। সেখানে বছরভর মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল ফলিয়েছিলেন কৃষকেরা। বছরের ঠিক এই সময়টাতেই তাঁদের ফলানো ফসল ঘরে তোলার কথা। অনেকের জমির ধান কাটাও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেই কাটা ধান আর খামারে নিয়ে যাওয়া হল না।

শনিবার সেচ খালের ছাড়া জলে প্লাবিত হয় এলাকার প্রায় পঞ্চাশ বিঘা জমির ধান। যেটুকু ফসল ঘরে তোলার যোগ্য ছিল সেটুকু প্রাণপনে তোলার চেষ্টা চালাতে ছাড়ছেন না এলাকার কৃষকেরা। কৃষকদের অভিযোগ, তাঁদেরকে না জানিয়েই হঠাৎ জল ছাড়ায় এই বিপত্তি। এই অবস্থায় মাঠের ধান ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পাশাপাশি আগামী আলুর মরসুমে দেরি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। তাঁদের দাবি জমির ধান খামারে উঠলেই আলু চাষের জন্য জমি তৈরির প্রস্তুতি শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই জমিতে জল জমে যাওয়ায় এখন আলুর জন্য জমি তৈরির কাজও পিছিয়ে যাবে।

এক কৃষক বলেন, ‘এবার আলু হবে কী করে? ধানের অবস্থাটা কী হল? অর্ধেক ধান জমি ডুবে গেছে। ক্যানেলে জল ছেড়ে দিয়েছে। আর সেই জমিতে এসে ঢুকে গিয়েছে। পুরো ধানগুলোর ক্ষতি হবে। সবটাই সেচ খালের জলে হয়েছে।’ আর এক কৃষক বলেন, ‘আমরা জানি কার্তিক মাসের ১০ তারিখে সেচ খালের জল ছাড়া হয়। তারপর আর ছাড়ে না। সেই মতো আমরা ধান কাটি। হঠাৎ দেখি আজকে জল ছেড়ে দিয়েছে। তারপর কাটা ধানগুলো সব ডুবে গেল। ওই ধান পচে যাবে। ধান আর বিক্রি হবে। ধান যদি ঠিকঠাক তুলতে পারতাম তাহলে ওই মাটিতে আলু ফলাতাম। তারও সার, বীজ কেনা হয়ে গেছে। এখন সেটাও চাষ হবে না। সার-বীজ সব নষ্ট হয়ে গেল।’

সোনামুখী ব্লকের বিডিও দেবলীনা সর্দার বলেন, ” গোটা বিষয়টির তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য ব্লক কৃষি আধিকারিককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট পেলে প্র‍য়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কীভাবে ওই এলাকায় জল ঢুকল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”