Bankura: ফেরিওয়ালার ছেলে আইআইটি খড়গপুরের পথে, হাত বাড়িয়ে দিলেন বিজেপি সাংসদ
Bankura: বাঁকুড়ার পাবড়া গ্রামের বাসিন্দা কর্মকার পরিবারের। সেই পরিবারের একমাত্র রোজগারে কানাই কর্মকার পেশায় ফেরিওয়ালা।
বাঁকুড়া: ছেলে মেধাবী। সুযোগ এসেছে আইআইটি-র মতো প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করার। স্বাভাবিকভাবেই উৎসবে মেতে ওঠার কথা পরিবারের। কিন্তু বাঁকুড়ার পাবড়া গ্রামের কর্মকার পরিবারে ছেলের এই ‘সুযোগ’ ঘুম উড়িয়েছে বাকি সদস্যদে। হ্যাঁ! হক-চকিয়ে যাওয়ার মতন বিষয়ই বটে। তবে, কারণ খোঁজা মোটেও জটিল নয়। বাবা ফেরিওয়ালা, তাই বিপুল খরচ আসবে কোথা থেকে এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে বাড়ির উঠোন থেকে অন্দরে। আর এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার।
বাঁকুড়ার পাবড়া গ্রামের বাসিন্দা কর্মকার পরিবারের। সেই পরিবারের একমাত্র রোজগারে কানাই কর্মকার পেশায় ফেরিওয়ালা। সারাদিন গ্রামে গ্রামে ঘুরে যা আয় হয় তাতে কোনওমতে চলে সংসার। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে মাঝেমধ্যেই নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। এই অভাব বন্ধ করেছে বড় ছেলের লেখাপড়া। তবে ছোট ছেলের ইচ্ছাশক্তি অনেক বেশি। তাই তিনি বাবার ব্যবসায় সাহায্য করেই চালিয়ে গিয়েছে নিজের পড়াশোনা। আর তাই ছোট ছেলে ছোটন কর্মকারকে নিয়ে আশাও অনেক অভাবী বাবা-মায়ের। লেখাপড়ার ইচ্ছা দেখে একটা পাশে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় কিছু শিক্ষক এবং শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ। আইআইটি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার ইচ্ছা অবশেষে সফল হয় তারম জেইই মেইন ও এডভান্সড পরীক্ষায় দারুণ ফল করেন ছোটন। আর তার থেকে সুযোগ পায় আইআইটি খড়গপুর থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার।
এরপরই ভিড় করে আসে যাবতীয় প্রশ্ন। সামান্য ফেরিওয়ালা বাবা কী করে বিপুল খরচ সামলাবেন ছেলের পড়াশোনার? দেশের সবচেয়ে নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কীভাবে পড়াশোনা করবে ছেলে? অনিশ্চয়তা ভিড় করে আসে পরিবারজুড়ে। বিপদে পাশে পায় বেশ কিছু মানুষকে। তাদের মধ্যে একজন বিজেপি বিধায়কও। দশ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য করেছেন তিনি। আপাতত তাদের থেকে সাহায্য নিয়েই আইআইটি খড়্গপুরের পথে পা বাড়াচ্ছেন ছোটন কর্মকার। কিন্তু তবুও আশঙ্কা থাকছেই। শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়া যাবে তো খরচ? উত্তর খুঁজেই চলেছেন বাবা কানাই কর্মকার ও মা ববিতা কর্মকার।
সাংসদ সুভাষ সরকার বলেন, ‘আমাদের বাঁকুড়ার জেলার গর্ব ছোটন কর্মকার আইআইটি খড়গপুরে সুযোগ পেয়েছেন। অত্যন্ত গরিব পরিবার থেকে উঠে এসেছেন তিনি। আমি প্রাথমিক ভাবে ১০ হাজার টাকা চেক তুলে দিলাম। পরে সেখানকার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথাও বলব যাতে পরীক্ষার ফি কিছুটা হলেও মকুব করা যায়।’