Bankura Road Accident: বালি বোঝাই লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু, যুবকের দেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ এলাকাবাসীর
Bankura: স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সঞ্জিত দাস।
বাঁকুড়া: সপ্তাহের শুরু দিনই মর্মান্তিক ঘটনা। বালি বোঝাই বেপরোয়া লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক যুবকের। সেই ঘটনায় রবিবার উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানার হাটি গ্রামে। বেপরোয়া লরি চলাচল বন্ধ ও রাস্তা মেরামতের দাবিতে মৃতদেহ রাস্তায় ফেলে রেখে বিক্ষোভে সামিল হন এলাকার বাসিন্দারা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সঞ্জিত দাস। হাটি গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় দারকেশ্বর নদীর উপর একটি বালি খাদান রয়েছে। ওই বালি খাদানে দিনভর বেপরোয়া গতিতে লরি যাতায়াত করে। রবিবার বিকালের দিকে কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে বেপরোয়া গতিতে বালি খাদানের দিকে ছুটে যাওয়া লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুহয় স্থানীয় সঞ্জিত দাস নামের এক যুবকের। ঘটনার খবর পেয়ে কোতুলপুর থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করতে গেলে গ্রামবাসীরা বাধা দেন।
মৃতদেহ রাস্তায় ফেলে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। রাস্তার বেহাল দশার কারণেই বারংবার দুর্ঘটনা ঘটছে দাবি করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার, বালি পরিবহনকারী লরির গতি নিয়ন্ত্রণ ও মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবি জানাতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা।দীর্ঘক্ষণ ধরে পথ অবরোধ চলার পর পুলিশের আশ্বাসে স্থানীয়রা অবরোধ তুলে নিলে কোতুলপুর থানার পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠায়।
এই বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘এখানে অনেক লোকজন বাস করে। জনবসতি পূর্ণ এলাকা। তারপরও সচেতন হয় না কেউ। লরির চালকরা রোজ দ্রুত গতিতে গাড়ি চালায়। কোনও রকম নিয়ম মানে না। তার উপর রাস্তা খারাপ। এই রাস্তা মেরামতির জন্য অনেকবার জানিয়েছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সেই কারণেই আজ একটা প্রাণ চলে গেল।’