Duare Sarkar: ‘আগে জল, রাস্তা, স্ট্রিট লাইট দরকার, তারপর হবে দুয়ারে সরকার’

Bankura: বাঁকুড়ায় বড়সড় ধাক্কা খেল দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। গ্রামে পানীয় জল, রাস্তা ও স্ট্রিট লাইটের দাবিতে দুয়ারে সরকার শিবির বয়কট করলেন ওই আদিবাসী গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা।

Duare Sarkar: 'আগে জল, রাস্তা, স্ট্রিট লাইট দরকার, তারপর হবে দুয়ারে সরকার'
বাঁকুড়ায় উত্তেজনা (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 23, 2022 | 2:35 PM

বাঁকুড়া: দুয়ারে সরকার ক্যাম্প বয়কটের ডাক গ্রামবাসীদের। তাঁদের অভিযোগ, একে গ্রামে রাস্তা হয়নি, তারপর নেই পানীয় জলের যথাযথ ব্যবস্থা। নেই আলো পর্যন্ত। ফলে সরকারি কর্মীরা গ্রামে আসতেই তাঁদের পথ আটকালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা প্রতিশ্রুতির পর অবশেষে মিটমাট হল সবটা।

বাঁকুড়ায় বড়সড় ধাক্কা খেল দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। গ্রামে পানীয় জল, রাস্তা ও স্ট্রিট লাইটের দাবিতে দুয়ারে সরকার শিবির বয়কট করলেন ওই আদিবাসী গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা। শুধু ওই শিবির বয়কট করাই নয়, শিবিরে যোগ দিতে যাওয়া সরকারি কর্মীদের গ্রামে ঢোকার মুখে আটকে তুমুল বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন এলাকার বাসিন্দারা। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের জেরে প্রায় তিন ঘণ্টা আটকে থাকেন ওই শিবিরে যোগ দিতে যাওয়া সরকারি কর্মীরা। পরে প্রশাসনিক আশ্বাসে ওঠে অবরোধ।

বাঁকুড়া জেলায় এতদিন নির্বিঘ্নেই চলছিল দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। এরপর বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের ধতলা গ্রামের এক প্রান্তে থাকা ধতলা সাঁওতাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুয়ারে সরকার কর্মসূচির ঘোষিত স্পেশাল শিবির ছিল। সেই শিবিরই থমকে গেল গ্রামবাসীদের বাধায়।

এ দিন, দুয়ারে সরকারের স্পেশাল শিবিরে যোগ দিতে যাওয়া সরকারি কর্মীদের গ্রামে ঢোকার মুখে আটকে দেন ওই গ্রামের আদিবাসী মানুষেরা। সরকারি কর্মীদের ঘেরাও করে প্রবল বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।তাঁরা শ্লোগান তোলেন আগে গ্রামে পানীয় জল, রাস্তা ও স্ট্রিট লাইট দরকার, তারপর হবে দুয়ারে সরকার।

ধতলা গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি সহ প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় জানিয়েও গ্রামের রাস্তা পাকা হয়নি। গ্রামের রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত বেহাল। বর্ষায় সেই রাস্তার অবস্থা আরও খারাপ হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। আশপাশের গ্রামের রাস্তায় সুর্যালোক চালিত স্ট্রিট লাইট বসানো হলেও ধতলা গ্রামে তা বসেনি। ফলে সন্ধ্যে নামলেই ঘন অন্ধকারে ডুবে যায় গ্রামের রাস্তা। পানীয় জল সরবরাহের জন্য গ্রামে পাইপ লাইন থাকলেও তা দিয়ে জল আসে না। একটি সাবমার্সিবল থাকলেও তা বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে।

গ্রামে তিনটি নলকূপের মধ্যে দু’টিতে জল মেলে না। গ্রামের প্রান্তে থাকা দূরবর্তী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি নলকূপ থেকে যে সামান্য জল মেলে তা দিয়েই পানীয় জলের চাহিদা মেটাতে হয় গ্রামের মানুষকে। এই পরিস্থিতিতে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি নয় গ্রামবাসীদের দাবি, গ্রামের রাস্তা পাকা করা, স্ট্রিট লাইটের ব্যবস্থা করা ও পানীয় জলের ব্যবস্থা আগে প্রয়োজন।স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান গ্রামের সমস্যাগুলির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তাঁর দাবি, আগামী বছরের মধ্যে সমস্যাগুলি সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

বিজেপির বলছে, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের বরাদ্দ টাকা শাসক দলের নেতারা খেয়ে নেয়। সেই কারণে গ্রামের মানুষের নিত্য নৈমিত্তিক চাহিদাগুলি পূরণ করতে পারেনি। তাই সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ বিক্ষোভে সামিল হচ্ছেন । তৃণমূল নেতা তথা বাঁকুড়া জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ জানিয়েছেন বিজেপির অভিযোগ মিথ্যা। প্রয়োজনের ভিত্তিতে গ্রামে গ্রামে পাকা রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। ওই গ্রামেও রাস্তা হয়ে যাবে। ওই গ্রামে পানীয় জলের সমস্যাও দ্রুত মেটানো হবে।