Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bankura: ৩ দিনের মধ্যে ৫ লাখ না দিলে ছাত্রীদের ধর্ষণের হুমকি, TMCP নেতার আপ্তসহায়ক বলে চিঠি গেল স্কুলে

Threat Letter: তীর্থঙ্কর বাবুর দাবি, তাঁর ভাবমূর্তিকে কালীমালিপ্ত করতেই কেউ এভাবে চিঠি পাঠিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নিন্দায় সরব হয়েছে বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলি।

Bankura: ৩ দিনের মধ্যে ৫ লাখ না দিলে ছাত্রীদের ধর্ষণের হুমকি, TMCP নেতার আপ্তসহায়ক বলে চিঠি গেল স্কুলে
বাঁকুড়ার স্কুলে হুমকি চিঠি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 22, 2022 | 10:37 PM

বাঁকুড়া: নিজেকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বাঁকুড়া জেলা সভাপতির আপ্তসহায়ক বলে দাবি করে পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা চাওয়ার হুমকি চিঠি। সেই চিঠি গিয়ে পৌঁছাল বাঁকুড়া শহরের একটি গার্লস স্কুলে। বুধবার ওই হুমকি চিঠি পান ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। চিঠিতে হুমকি দেওয়া হয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা না দিলে স্কুল জ্বালিয়ে দেওয়া হবে। এমনকী ছাত্রীদের ধর্ষণের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। চিঠি পেতেই বাঁকুড়া সদর থানার দ্বারস্থ হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, মেদিনীপুর শহরের একটি কলেজেও একই ধরনের তোলা চেয়ে হুমকি চিঠি পৌঁছেছে। ঘটনার খবর পাওয়ার পরই থানার দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি তীর্থঙ্কর কুণ্ডু। তীর্থঙ্কর বাবুর দাবি, তাঁর ভাবমূর্তিকে কালীমালিপ্ত করতেই কেউ এভাবে চিঠি পাঠিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নিন্দায় সরব হয়েছে বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলি।

বাঁকুড়াও ওই স্কুল সূত্রে জানা যায়, বুধবার ডাকযোগে একটি চিঠি এসে পৌঁছায় প্রধান শিক্ষিকার ঠিকানায়। সেই চিঠিতে প্রেরক নিজেকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি তীর্থঙ্কর কুণ্ডুর আপ্ত সহায়ক বলে পরিচয় দেয়। চিঠিতে প্রেরকের নাম রয়েছে হরপ্রসাদ বিশ্বাস। ছাপানো চিঠিতে বলা হয়, গত ভোটের ফলাফল বেরনোর পর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি তীর্থঙ্কর কুণ্ডু সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু করেছেন। এর জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। এর জন্য আগামী ২৫ জুনের মধ্যে পাঁচ লক্ষ টাকা দিতে হবে। না দিলে স্কুলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হবে ও ছাত্রীদের ধর্ষণ করা হবে। চিঠিতে দু’টি মোবাইল নম্বরও দেওয়া রয়েছে। ওই নম্বরে যোগাযোগের জন্য বলা হয়েছে।

এই চিঠি ডাকযোগে হাতে পেতেই রীতিমতো চমকে যান স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। তিনি বিষয়টি বাঁকুড়া সদর থানায় জানান। এদিকে এই চিঠির খবর পেতেই থানায় হাজির হন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি তীর্থঙ্কর কুণ্ডু। হরপ্রসাদ বিশ্বাস নামে তাঁর কোনও আপ্ত সহায়ক নেই বলে দাবি করেন তীর্থঙ্কর বাবু। দলের ভাবমূর্তিকে কালীমালিপ্ত করতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে তাঁর দাবি। তীর্থঙ্কর বাবু জানিয়েছেন, শুধু বাঁকুড়ার ওই স্কুলেই নয়, মেদিনীপুরের একটি কলেজেও একই বয়ানের চিঠি পাঠানো হয়েছে। দলীয় ভাবে দিন দুই আগে সেই চিঠির কথা তিনি জেনেছেন। দু’টি ঘটনারই প্রকৃত তদন্ত করে দোষীর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি। এই ঘটনা সামনে আসার পরই নিন্দায় সরব হয়েছে এসএফআই ও এবিভিপি।

এসএফআই জেলা সম্পাদক অনির্বান গোস্বামী এই বিষয়ে বলেন, “বর্তমানে আমরা যে রাজ্যে বাস করছি, সেখানে দেখা যাচ্ছে একের পর এক ধর্ষণ, খুন, রাহাজানি, টাকা তোলা, কাটমানি… বিহত ১১ বছরে অনেক উদাহরণ রয়েছে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ যাঁরা পরিচালনা করেন, সেটিও তো কোনও আলাদা বিষয় নয়।” তোপ দেগেছে এবিভিপিও। এবিভিপি জেলা সভাপতি সৌনক পাত্র বলেন, “এই ধরনের চিঠি কাঙ্খিত নয়। কলেজে যে পরিমাণ দুর্নীতি ছিল, যে পরিমাণে টাকা আদায় হত তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে মনে হয়। সেই কারণে বাইরে থেকে টাকা আমদানি করছে।”