Elephant Attack: রাতভর হাতির তাণ্ডবে তটস্থ বাঁকুড়া, ক্ষতিগ্রস্থ প্রায় ৯ বাড়ি
Bankura: বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় রেঞ্জের রসিকনগর এলাকার জঙ্গলে বেশ কিছুদিন ধরেই রয়েছে ৩ টি হাতি।
বাঁকুড়া: হাতির হানায় জেরবার বাঁকুড়া। রাতভর হাতির হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ প্রায় ৯টি বাড়ি। হাতির হানা ঠেকাতে সর্বশক্তি দিয়ে নামল বন দফতর। বাঁকুড়ার ঘটনা বেলিয়াতোড় রেঞ্জের ওলতোড়া গ্রামের। জানা গিয়েছে, হাতির হামলার ভয়ে শেষ অবধি জনগণ স্থানীয় জঙ্গলে আশ্রয় নেয়।হাতিটি ফের যাতে গ্রামে না হানা দেয় সেজন্য সর্বশক্তি দিয়ে মাঠে নেমেছে বনদফতর।
বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় রেঞ্জের রসিকনগর এলাকার জঙ্গলে বেশ কিছুদিন ধরেই রয়েছে ৩ টি হাতি। সোমবার সন্ধ্যায় আরও একটি হাতি এসে যোগ দেয় রসিকনগরের জঙ্গলে থাকা তিনটি হাতির সঙ্গে । এরপরই খাবারের সন্ধানে নবাগত হাতিটি হানা দেয় পার্শ্ববর্তী ওলতোড়া গ্রামে। গ্রামের ঢুকেই প্রথমে একটি মুদির দোকানে হানা দেয় হাতিটি। হাতির হানায় তছনছ হয়ে যায় মুদির দোকানটি। এরপর গ্রামের একের পর এক বাড়ি ও স্থানীয় আইসিডিএস কেন্দ্র ভাঙচুর করে হাতিটি। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা তাড়া করে হাতিটিকে তাড়িয়ে দিলেও ফের কিছুক্ষণ পরেই ফের হাতিটি গ্রামে ফিরে আসে।তারপর একদফা তাণ্ডব চালায় সে। ফের গ্রামবাসীরা তাড়া করলে হাতিটি গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে পালিয়ে যায়।
জঙ্গলে যথেষ্ট খাবার না থাকায় হাতিটি ফের হানা দিতে পারে গ্রামে সেই আশঙ্কায় কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে বন দফতর। ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি দ্রুত ওই এলাকা থেকে হাতিটিকে অন্যত্র সরানোর ব্যাপারে আস্বাস দিয়েছে বন দফতর। যদিও সেই শুকনো আশ্বাসে আপাতত চিঁড়ে ভেজাতে নারাজ স্থানীয় বাসিন্দারা। ক্ষতিগ্রস্থদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবিতে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘আমাদের বাড়ি-ঘর সব ভেঙে গিয়েছে। রাত্রিবেলা ভয়ে আমাদের পাশের ছোট জঙ্গলে গিয়ে আশ্রয় নিতে হয়েছে। বন দফতর বলেছে ক্ষতিপূরণের টাকা দেবে। আমরা গরিব মানুষ। কোথা থেকে বাড়ি বানানোর টাকা পাব এত? যদি ক্ষতিপূরণ না পাই তাহলে আমাদের খুব অসুবিধা হবে।’