Cow Smuggling: সাত লরিতে ১৩৭টি গরু-মোষ, পাচারের আগেই এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার পুলিশের
Cow Smuggling: ফের ভিন রাজ্য থেকে নিয়ে আসা ১৩৭ টি গরু-মোষকে উদ্ধার করল পুলিশ। আটক করা হয়েছে সাতটি লরিও। ঘটনায় ধনজিৎ কুমার নামে এক গরু ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে।
রামপুরহাট: বিগত কয়েক মাসে লাগাতার ভিন রাজ্য থেকে আসা গরু পাচারকারীদের (Cow Smuggling) আটক করছে পুলিশ (Police)। একদিন আগেই বীরভূমের (Birbhum) মাড়গ্রাম থানার পুলিশ গরু বোঝাই একটি লরিটিকে আটক করে। সূত্রের খবর, ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর প্রতাপপুর মোড়েই আটকানো হয় লরিটিকে। লরিটি থেকে মোট ২৯ টি গরুকেও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছিল। গ্রেফতার করা হয়েছিল তিনজনকে। এবার কার্যত একই ঘটনার প্রতিচ্ছবি দেখতে পাওয়া গেল বীরভূমের রামপুরহাটে (Rampurhat)। ফের ভিন রাজ্য থেকে নিয়ে আসা ১৩৭ টি গরু ও মোষকে পুলিশ।
এ ঘটনায় আটক করা হয় সাতটি লরিও। ঘটনায় ধনজিৎ কুমার নামে এক গরু ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, ধৃতের বাড়ি বিহারের পাটনা জেলার হাতিয়াতোলা গ্রামে। এদিন সকালে সাতটি লরিতে চাপিয়ে ঝাড়খণ্ড থেকে গরুগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল মুর্শিদাবাদে। এ খবর চলে যায় পুলিশের কাছে। রামপুরহাট-দুমকা রাস্তা থেকে গরু বোঝাই লরিগুলিকে আটক করে রামপুরহাট থানার পুলিশ (Rampurhat Police Station)। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ঝাড়খণ্ডের পশুহাট থেকে অবৈধভাবে কিনে নিয়ে আসা হচ্ছিল গরুগুলিকে। তবে আটকের সময় কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি ধৃত গরু ব্যবসায়ী।
কয়েকদিন আগে বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানার বীরভূমের রামপুরহাট থানার সুড়িচুয়া মস্তানমোড়ের কাছে আরও একটি গরু বোঝাই লরিকে আটক করে পুলিশ। দুটি লরি করে গরুগুলিকে বীরভূমে নিয়ে আসা হচ্ছিল বলে জানতে পারে। সঙ্গে ছিল একটি পিকআপ ভ্যান। ছিল প্রায় ৪৮টি গরু। এ ঘটনায় শেখ বাবর নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর ওই ব্যক্তির বাড়ি বিহারের বাঁকা জেলার অমরপুর থানার চিড়িয়া গ্রামে। গরুগুলিকে বিহার থেকে বীরভূমের নলহাটির পশুহাটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে খবর।