Bagtui Massacre: আনারুলের নির্দেশে আগুন লাগিয়েছিল আজাদ, বগটুই কাণ্ডে এবার ওইল ২ জন-সহ ১৯ জনকে জেরা সিবিআই-এর
Bagtui Massacre: প্রত্যেক দিন জেরাতেই নতুন তথ্য উঠে আসছে বলে জানাচ্ছেন তদন্তকারীরা। এদিকে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এদিন তলব করা হয়েছে ঘটনার মূল সাক্ষী মিহিলাল শেখকেও।
বীরভূম: বগটুই কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত রামপুরহাটের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন, আজাদ চৌধুরী-সহ ধৃত ১৯ জন অভিযুক্তকে ফের জেরা সিবিআই-এর। মঙ্গলবার ফের তাদেরকে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। তদন্তে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, আজাদ হলেন সেই ব্যক্তি, যে ওই রাতে আনারুল হোসেনের নির্দেশে সোনা শেখের বাড়িতে আগুন লাগিয়েছিল। সোনা শেখ-সহ আরও একাধিক বাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছিল। অভিযুক্তদের কখনও মুখোমুখি বসিয়ে, কখনও আলাদা ভাবে জেরা করা হচ্ছে। পরে প্রত্যেকের বয়ান মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রত্যেক দিন জেরাতেই নতুন তথ্য উঠে আসছে বলে জানাচ্ছেন তদন্তকারীরা। এদিকে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এদিন তলব করা হয়েছে ঘটনার মূল সাক্ষী মিহিলাল শেখকেও।
সবথেকে উল্লেখযোগ্য, রামপুরহাট থানার এক সাব ইন্সপেক্টরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে খবর। জেরা করা হচ্ছে তিন এএসআই-কেও। এদিকে ভাদু শেখ খুনে অন্যতম মূল প্রত্যক্ষদর্শী লালন শেখ আচমকাই ফেরার। কোথায় গেলেন তিনি? তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছেন তদন্তকারীরা। ঘটনার পর লালন শেখ প্রথম জানিয়েছিলেন, ভাদু শেখকে কীভাবে খুন করা হয়েছে। সম্প্রতি যে সিসিটিভি ফুটেজটি প্রকাশ্যে আসছে, তার সঙ্গে মিলে যাচ্ছে লালন শেখের বয়ান। লালনই প্রথম জানিয়েছিলেন, চার দুষ্কৃতী বাইকে এসে ভাদু শেখকে খুন করেছিল। বোমা চার্জের পর মৃত্যু নিশ্চিত করে বাইকেই পালিয়ে যায় তারা।
বগটুইকাণ্ডে এবার অভিযুক্তদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করেছে সিবিআই। অকুস্থল অর্থাৎ সোনা শেখের বাড়ি থেকে যে লোহার রড, তেলের জার, পর্দা ঝোলানোর রড, ধারালো অস্ত্র সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা, তা থেকে হাত ও আঙুলের ছাপ নেওয়া হবে। এছাড়াও সোনা শেখে ও আশেপাশের যে বাড়িগুলিতে ২১ মার্চ রাতে আগুন লাগানো হয়েছিল, সেখান থেকেই আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করছে সিবিআই। এরপর ধৃতদের আঙুলের ছাপের সঙ্গে সেই নমুনা মিলিয়ে দেখা হবে।
আরও পড়ুন: ২০২০-র পর সর্বনিম্ন, বাংলায় একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ১২