AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Birbhum: ‘একটা নান্দনিক পুতুল হয়েছে’, সংশোধনাগারে তারাশঙ্করের মূর্তি ঘিরে বিতর্ক

Birbhum Jail: দেবাশিসের আরও বক্তব্য,  তারাশঙ্করের যে মূর্তি তৈরি করা হয়েছে, তা তার কোন ছবির সঙ্গে মেলে না, পাঞ্জাবির বোতাম থেকে শুরু করে চোখের গঠন, চোখ, কপাল কোনও কিছুর সঙ্গেই মিল নেই। এটা একটা নান্দনিক পুতুল হয়েছে। তারাশঙ্করের মূর্তি প্রতিষ্ঠা হচ্ছে তাঁর পরিবারকে আমন্ত্রণ জানানো উচিত ছিল।

Birbhum: 'একটা নান্দনিক পুতুল হয়েছে', সংশোধনাগারে তারাশঙ্করের মূর্তি ঘিরে বিতর্ক
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 14, 2025 | 2:40 PM
Share

বীরভূম: সিউড়ি জেলা সংশোধনাগারে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের মূর্তি প্রতিষ্ঠাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক। তারাশঙ্কর স্মৃতি স্মারক সমিতির সভাপতি দেবাশিস মুখোপাধ্যায় অভিযোগ করেন তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে মূর্তি বসানো হচ্ছে, সেটা সংশোধনাগারের দিকে মুখ করে  বসানো হয়েছে। তারাশঙ্করের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে গিয়ে বিপরীতমুখী মূর্তি কী বার্তা বহন করে? প্রশ্ন দেবাশিসের।

দেবাশিসের আরও বক্তব্য,  তারাশঙ্করের যে মূর্তি তৈরি করা হয়েছে, তা তার কোন ছবির সঙ্গে মেলে না, পাঞ্জাবির বোতাম থেকে শুরু করে চোখের গঠন, চোখ, কপাল কোনও কিছুর সঙ্গেই মিল নেই। এটা একটা নান্দনিক পুতুল হয়েছে। তারাশঙ্করের মূর্তি প্রতিষ্ঠা হচ্ছে তাঁর পরিবারকে আমন্ত্রণ জানানো উচিত ছিল। তাঁর কথায়, ” পরিবারের সদস্যরাই আমাকে ব্যক্তিগতভাবে অভিযোগ করেছেন। কারাগার মানে তো সংশোধনাগার, সংশোধনাগারের উচ্চপদস্থ কর্মীরা যদি অসংশোধিত হয়ে থাকে তাহলে তারা কী সংশোধন করবেন জানিনা।”

রাজ্য কারা দফতরের এডিজি লক্ষীনারায়ণ মিনা অবশ্য বলেন, “মহাপুরুষদের চোখ সবদিকেই থাকে।” অন্যদিকে তারাশঙ্করের ছবির সঙ্গে মূর্তির বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যে মিল নেই বলে অভিযোগ উঠেছে, সে প্রসঙ্গেও এডিজি বলেন, “ছবির সঙ্গে একশো শতাংশ মিল একজন শিল্পীর পক্ষে সব সময় সম্ভব হয় না।”

এদিকে, মঞ্চ থেকেই দেবাশিস মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্যের পাল্টা জবাব দেন সরকারি আইনজীবী মলয় মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আপনার জানা নেই কী জন্য মূর্তিটা সংশোধনাগারের দিকে মুখ করে বসানো আছে। কারণ তার পাশেই রয়েছে প্লাগ হোস্টিং-এর জায়গা। আপনারা এত লেখালেখি করে তো কিছু করতে পারেননি। এই জেলাশাসকের আমলেই মূর্তিটা বসানো হল।”