Anubrata Mondal: ছুটিতে থেকেও অনুব্রতর বাড়িতে চিকিৎসক পাঠানোর অনুমতি? সুপারের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

Birbhum: বুধবার হাসপাতালের ডেপুটি সুপার জানান, 'অনুব্রত মণ্ডলের চিকিৎসা সংক্রান্ত গোটা বিষয়টি যা দেখার টিভিতে দেখছি। বাকি এখন হাসপাতাল সুপার ছুটিতে রয়েছেন।'

Anubrata Mondal: ছুটিতে থেকেও অনুব্রতর বাড়িতে চিকিৎসক পাঠানোর অনুমতি? সুপারের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
অনুব্রত মণ্ডল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 10, 2022 | 2:46 PM

বীরভূম: বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। এসএসকেএম (SSKM) ক্লিনচিট দেওয়ার পরও কীভাবে বোলপুরে ফের তাঁর আবারও চিকিৎসা হল সেই বিষয়ে উঠছে প্রশ্ন।বীরভূম জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক সিএমওএইচ হিমাদ্রি আরি জানিয়েছেন যে, এই ভাবে কারোর বাড়িতে টিম পাঠাতে হলে অবশ্যই অনুমতির প্রয়োজন হয়। তাঁর কথায়, ‘বাকি সুপার বলতে পারবেন তিনি কার নির্দেশে পাঠিয়েছিলেন।’ আর গোটা ঘটনায় যখন প্রশ্নের মুখোমুখি সুপারের ভূমিকা ঠিক তখনই সামনে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। হাসপাতাল সুপার ছুটিতে রয়েছেন। এমনটাই জানালেন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের ডেপুটি সুপার।

বুধবার হাসপাতালের ডেপুটি সুপার জানান, ‘অনুব্রত মণ্ডলের চিকিৎসা সংক্রান্ত গোটা বিষয়টি যা দেখার টিভিতে দেখছি। বাকি এখন হাসপাতাল সুপার ছুটিতে রয়েছেন।’

মূলত কোনও বিশেষ পরিস্থিতিতে কারোর বাড়িতে সরকারি চিকিৎসককে পাঠানো যেতে পারে। তবে তাঁর জন্য নিতে হয় সরকারি নির্দেশ। তবে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে চিকিৎসক পাঠানো নিয়ে গতকাল কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি দাবি বীরভূমের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের। গোটা বিষয়ে চিকিৎসক সংগঠনের নেতা মানস গুমটা জানান, ‘নির্দেশ যদি দিতেই হয়, তাহলে ছুটিতে থেকে কীভাবে নির্দেশ দিলেন সুপার? তাঁর বদলে যাঁরা দায়িত্বে রয়েছেন তাঁদের অনুমতি দেওয়ার কথা। সবচেয়ে বড় কথা বিষয়গুলিকে উহ্য রাখলে হবে না। আমরা জানতে চাই এই উপর মহলটি কে? কোন উপর মহলের নির্দেশে তিনি একজন চিকিৎসককে পাঠালেন এবং বললেন সাদা কাগজে প্রেসক্রিপশান করে দাও? যদি আদেশ নামা দিতেই হয় তাহলে সরকারি কেন নয়, সরকারি গাড়ি কেন যাবে না? গিয়ে থাকলে সরকারি কাগজই বা কেন থাকবে না?’

অপরদিকে, গতকাল যে চিকিৎসক কেষ্টর বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি জানান, ‘আমি এক জন জেনারেল সার্জন ও একজন সরকারি কর্মচারী। আমি আমার ঊর্ধবতন কর্তৃপক্ষ বোলপুর সিয়ান সাব ডিভিশন হাসপাতালে সুপারিনটেনডেন্টের অর্ডার মানতে বাধ্য। ফলে আমাকে সুপার যা বলেছেন, সেই অনুসারে কাজ করেছি। আমি সুপারকে বলেছিলাম, ওঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে। কিন্তু ওঁ বলেছিলেন হাসপাতালে আনার দরকার নেই। বাড়িতে যান।’

সাদা কাগজে প্রেসক্রিপশন প্রসঙ্গেও তিনি বিস্ফোরক কথা বলেন। চিকিৎসকের কথায়, ‘ওটা কোনও প্রেসক্রিপশন নয়। আমি ড. বুদ্ধদেব মুর্মুকে বলেছিলাম ওঁর নামে একটি কাগজ ইস্যু করে দিতে। ওঁ বলেছিলেন, কাগজের দরকার নেই। আপনি একটা সাদা কাগজে লিখে দিন। আমার কাছে নিজের কোনও প্যাডও ছিল না। আমি A4 কাগজে লিখি। আমি দেখি ফিসচুলায় সমস্যা রয়েছে। মানসিক চাপ প্রবল, প্রেসারও বেশি।’