Nanur: শেষমেশ DNA রিপোর্টেই এল ফল, এক মাস আগে উদ্ধার হওয়া নাবালিকার দেহ শনাক্ত
Nanur Body Recovered: এরপর ২৪ জুলাই পাপুরি গ্রামের একটি মাদ্রাসার পিছনে খালে এক নাবালিকার দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। দেহের অবস্থা খুব খারাপ ছিল, তা তখন না শনাক্ত করা যায়নি। অবশেষে একমাস পর ডিএনএ রিপোর্টে স্পষ্ট হয়েছে মৃতদেহটি ওই ছাত্রীর।

বীরভূম: প্রায় একমাস আগে বীরভূমের নানুর থানার পাপুড়ি গ্রামের মাঠ থেকে উদ্ধার হওয়া পচাগলা মৃতদেহের পরিচয় অবশেষে মিলল। রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজে ডিএনএ পরীক্ষায় নিশ্চিত হয়েছে, দেহটি নানুরের খালা গ্রামের নবম শ্রেণির ছাত্রীর। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৯ জুলাই টিউশন পড়তে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি ওই ছাত্রী। পরদিন তার মা নানুর থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন।
এরপর ২৪ জুলাই পাপুরি গ্রামের একটি মাদ্রাসার পিছনে খালে এক নাবালিকার দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। দেহের অবস্থা খুব খারাপ ছিল, তা তখন না শনাক্ত করা যায়নি। অবশেষে একমাস পর ডিএনএ রিপোর্টে স্পষ্ট হয়েছে মৃতদেহটি ওই ছাত্রীর।
মঙ্গলবার রাতে নানুর থানার পক্ষ থেকে মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। মেয়ের দেহ পেয়ে ভেঙে পড়েন মা ও তার পরিবার। শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়ে গোটা গ্রাম।
এদিকে মৃত ছাত্রীর মা অভিযোগ করেছেন— “এই ঘটনার পেছনে নানুর থানার পুলিশও জড়িত। তারা টাকা খেয়ে সবকিছু করেছে। আমার মেয়েকে যারা খুন করেছে, তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।” ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে নানুর থানার পুলিশ।
যদিও পুলিশের বক্তব্য, তদন্ত তদন্তের মতোই চলছে। তবে ওই ছাত্রীর মৃত্যু কীভাবে হল, খুন না আত্মহত্যা, নাকি তার ওপর কোনও যৌন নির্যাতন হয়েছিল কিনা, তা কিছুই স্পষ্ট নয়। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে এলাকায়।
