Birbhum: ‘পড়ানোর নামে উনি শ্যালিকার বুকে-ঠোঁটে হাত দিতেন’
অভিযুক্ত শিক্ষক তাঁর বাড়ি বীরভূমের মল্লারপুর থানার বড়তুড়িগ্রামে। তিনি বড়তুড়িগ্রাম হাইস্কুলের পার্শ্বশিক্ষক। সোমবার তাঁকে বীরভূমের রামপুরহাট নিশ্চিন্তপুরে দেখতে পেয়ে ছাত্রীর জামাইবাবু ও তাঁর বন্ধু-বান্ধবরা ওই শিক্ষককে ধরে মারধর করেন। পরে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ছাত্রীর বাড়িও শিক্ষকের গ্রামেই।

বীরভূম: এক আদিবাসী নাবালিকা ছাত্রীকে (Minor Girl) খুনের অভিযোগে তোলপাড় হচ্ছে বীরভূম। এই আবহের মধ্যেই এবার স্নাতকের প্রথম বর্ষের ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ। ঘটনাস্থল সেই একই বীরভূম। সেখানে এক গৃহশিক্ষককে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনাটি বীরভূমের রামপুরহাটে।
অভিযুক্ত শিক্ষকের বাড়ি বীরভূমের মল্লারপুর থানার বড়তুড়িগ্রামে। তিনি সেখানকারই একটি হাইস্কুলের পার্শ্বশিক্ষক। ছাত্রীর বাড়িও শিক্ষকের গ্রামেই। সোমবার তাঁকে বীরভূমের রামপুরহাট নিশ্চিন্তপুরে দেখতে পেয়ে নির্যাতিতা ছাত্রীর জামাইবাবু ও তাঁর বন্ধু-বান্ধবরা ওই শিক্ষককে ধরে মারধর করেন। পরে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেন তাঁরা।
ছাত্রীর জামাইবাবু জানান, তাঁর শ্যালিকা ওই গৃহশিক্ষকের বাড়িতে টিউশন পড়তে যেতেন। তাঁকে একাই পড়াতেন ওই শিক্ষক। সেই সুযোগে ওই শিক্ষক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দিতেন। তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশে হাত দিতেন বলে অভিযোগ। ছাত্রী বাধা দিলে তাঁকে জোর করে শ্লীলতাহানি করতেন বলে অভিযোগ। বিষয়টি ছাত্রী তার জামাইবাবুকে জানালে জামাইবাবু তাঁর বন্ধুদের জানান। আজ অর্থাৎ সোমবার ওই শিক্ষক রামপুরহাট এলে তাঁকে ধরে মারধর শুরু হয়। পরে রামপুরহাট থানার পুলিশের হাতে তাঁকে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করেছে।
এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা প্রতিদিন এখানেই বসে থাকি। আড্ডা মারি। হঠাৎ আমাদের এক বন্ধু এসে জানায় এক শিক্ষক ওর শ্যালিকার বুকে হাত দিত, ঠোঁটে হাত দিত। মেয়েটাকে দীর্ঘদিন ধরে হুমকি দিত। রামপুরহাটে যে মর্ডার কেস হল সেটা দেখে মেয়েটা আর জানায়নি। আমরা সেটা শুনেই ওকে ধরি। পুলিশ যদি না থাকত তাহলে ও খুন হয়ে যেত।”
