Tarapith: আজই আবির্ভূতা হয়েছিলেন মা তারা, পিছনের সেই কাহিনী জানেন?
কথায় বলে, জয় দত্ত নামে এক বণিক দ্বারকা নদীর উপর নৌকায় চড়ে বাণিজ্য করতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তিনি তারাপীঠে নিজের বজরা নোঙর করেছিলেন। যদিও আজকের তারাপীঠের নাম সেই সময় ছিল চণ্ডীপুর। সেখানে সাপের কামড়ে ওই বণিকের পুত্রের মৃত্যু হয়েছিল।

তারাপীঠ: আজ অর্থাৎ সোমবার শুক্লা চতুর্দশী। মা তারার আবির্ভাব দিবস। কথায় বলে, এই তিথিতেই তারা আবির্ভূত হয়েছিলেন। আর সেই কারণে আজ সারাদিন পুজো দেওয়ার ভিড় ছিল তারাপীঠে।
কথায় বলে, জয় দত্ত নামে এক বণিক দ্বারকা নদীর উপর নৌকায় চড়ে বাণিজ্য করতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তিনি তারাপীঠে নিজের বজরা নোঙর করেছিলেন। যদিও আজকের তারাপীঠের নাম সেই সময় ছিল চণ্ডীপুর। সেখানে সাপের কামড়ে ওই বণিকের পুত্রের মৃত্যু হয়েছিল। তারাপীঠে নোঙর করায় বণিকের ভৃত্য রান্না করার জন্য একটি শোল মাছ কেটে নদীর পাশের একটি পুকুরে ধোয়ার জন্য যান। পুকুরের জলের সংস্পর্শে আসতেই কাটা শোল মাছটি জীবিত হয়ে যায়। এরপর মাছটি পুকুরের গভীরে চলে যায়। ভৃত্যরা এই অলৌকিক ঘটনাটি বনিক জয় দত্তকে জানান।
সেই ঘটনা শুনে তিনি তাঁর পুত্রকে সেই পুকুরের জলে স্নান করাতে শুরু করেন। তখন তাঁর মৃত পুত্র ‘জয় তারা, জয় তারা’ উচ্চারণ করতে করতে বেঁচে ওঠেন। তখনই বণিক বুঝতে পারেন এই পুকুরে কোনও ঐশ্বরিক শক্তি আছে। বর্তমানের সেই পুকুরটি জীবিত কুণ্ড নামে খ্যাত। সেই রাতেই বণিককে স্বপ্ন দেন মা তারা। দিনটি ছিল শুক্লা চতুর্দশী। স্বপ্ন পেয়ে সেই দিনটিতেই তারাপীঠে মা তারার পুজো শুরু করেন বণিক জয় দত্ত। তাই প্রাচীন কাল থেকে এই দিনটিকে মা তারার আবির্ভাব দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে।
বছরের এই একটি দিনে মা তারাকে গর্ভগৃহ থেকে বের করে নিয়ে আসা হয়। এরপর মন্দিরের সামনে থাকা বিরাম মঞ্চে অধিষ্ঠিত করা হয়। দিনভর সেখানেই মা তারাকে পুজো দিতে পারেন পুণ্যার্থীরা। সন্ধেয় আরতির পর ফের দেবীকে মূল মন্দিরে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আজকের দিনে মা তারাকে দুপুরে কোনও ভোগ নিবেদন করা হয় না। তাই এই দিনটিতে মা তারার সেবাইতেরাও উপবাস থাকেন। সন্ধ্যায় ভোগ নিবেদনের পর উপবাস ভঙ্গ করেন তারা।
