Birbhum: ‘ধর্ষণ করে খুন’, রামপুরহাটে ছাত্রীকে টুকরো টুকরো করার ঘটনায় ১০ দিনে জমা পড়ল চার্জশিট
Birbhum student killed: ঘটনার প্রতিবাদে সরব হন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন। মৃত ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। ওই ছাত্রীকে শুধুমাত্র একজন শিক্ষক এভাবে টুকরো টুকরো করেছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার বলে তিনি মন্তব্য করেন। মৃত ছাত্রীর বাড়িতে গিয়েছিলেন রামপুরহাটের তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।

রামপুরহাট: সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে টুকরো টুকরো করে কেটে খুনের ঘটনায় চার্জশিট জমা দিল পুলিশ। দেহ উদ্ধারের ১০ দিনের মাথায় শুক্রবার পুলিশ চার্জশিট দিল। এদিকে ৯ দিনের পুলিশ হেফাজতের পর এদিন ধৃত শিক্ষককে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে তাঁকে আনা হয় আদালতে। পুলিশ চার্জশিট জমা দেওয়ার পর আদালত চার্জ গঠনের সময়ও বেঁধে দিয়েছে। ততদিন পর্যন্ত ধৃতকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
গত ২৮ অগস্ট টিউশন পড়তে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রী। রামপুরহাট থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করে তার পরিবার। ২০ দিনের মাথায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর রামপুরহাটের কালিডাঙা গ্রামের কাছে জলাজমি থেকে তার টুকরো করে টাকা পচাগলা দেহাংশ উদ্ধার করে রামপুরহাট থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় ওই ছাত্রীর স্কুলের ভৌতবিজ্ঞানের শিক্ষককে। ছাত্রীকে খুনের পর টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলার অভিযোগ ওঠে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ধৃত শিক্ষক ক্লাস সেভেনে পড়া ছাত্রীকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন।
ঘটনার প্রতিবাদে সরব হন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন। মৃত ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। ওই ছাত্রীকে শুধুমাত্র একজন শিক্ষক এভাবে টুকরো টুকরো করেছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার বলে তিনি মন্তব্য করেন। মৃত ছাত্রীর বাড়িতে গিয়েছিলেন রামপুরহাটের তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।
দেহ উদ্ধারের ১০ দিনের মাথায় এদিন চার্জশিট জমা দিল পুলিশ। নাবালিকা ছাত্রীর পক্ষে আইনজীবী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “চার্জশিটে বলা হয়েছে, ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। নিখোঁজ হওয়ার দিন কিংবা পরদিন তাকে খুন করা হয়। জেরায় সমস্ত অভিযোগ স্বীকার করেছে অভিযুক্ত শিক্ষক। ২৮ অক্টোবরে চার্জ গঠন হবে বলে বিচারক জানিয়েছেন। আমরা দ্রুত তার কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছি।” এদিকে, ধৃতকে এদিন রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। ঝুঁকি এড়াতে সকাল থেকেই রামপুরহাট মহকুমা আদালত চত্বরে কড়া পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল। বিচারক ধৃতকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
