AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Rampurhat Student Murder: রাত কাটিয়েছে নিহত ছাত্রীর সঙ্গে, রামপুরহাটের অভিযুক্ত শিক্ষক গ্রেফতার হতেই ফাঁস বড় তথ্য

Rampurhat Student Murder News: টিভি৯ বাংলার কাছে সেই সব নিয়েই মুখ খুলেছেন ওই আইনজীবী। তিনি জানিয়েছেন, 'মাস্টারমশাই আমাকে ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ফোন করেন। ৮ তারিখ দেখা করতে আসেন। আমি তো বলেছিলাম কোর্টে আসতে। কিন্তু উনি ব্যক্তিগত ভাবে দেখা করতে চেয়েছিলেন।'

Rampurhat Student Murder: রাত কাটিয়েছে নিহত ছাত্রীর সঙ্গে, রামপুরহাটের অভিযুক্ত শিক্ষক গ্রেফতার হতেই ফাঁস বড় তথ্য
আইনজীবী অনিন্দ্য সিংহImage Credit: নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Sep 21, 2025 | 1:44 PM
Share

বীরভূম: রামপুরহাটে ছাত্রী খুনের ঘটনায় প্রথম থেকেই অভিযোগের তির ছিল ওই শিক্ষকের দিকে। ২৮ অগস্ট শেষবারের জন্য বাড়ি থেকে টিউশন পড়তে যাওয়া। তারপর থেকেই নিখোঁজ ওই নাবালিকা ছাত্রী। যা ঘিরে তৈরি হয় উত্তেজনা। এই ঘটনায় স্কুলের ভৌত বিজ্ঞান শিক্ষক মনোজ কুমার পালের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে পরিবার। অভিযোগ তোলেন স্থানীয়রাও। এরপরই চলে স্কুল ঘেরাও, উন্মত্ত জনতার থেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে উদ্ধার করে নিয়ে আসে পুলিশ। বেশ কয়েকদিন আটক করেও রাখা হয় তাঁকে। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে ওই সময় বিন্দুমাত্র প্রমাণ পায় না পুলিশ। ফলত দিন পাঁচেকের মাথায় ছেড়ে দিতে হয় অভিযুক্ত শিক্ষককে।

পুলিশি হেফাজত থেকে মুক্ত হতেই তিনি দ্বারস্থ হন রামপুরহাটের এক আইনজীবী অনিন্দ্য সিংহের কাছে। ছাত্রী নিখোঁজ ঘিরে কী কথা হয়েছিল তাদের মধ্য়ে? আইনি পরামর্শ নাকি খুনের ঢাল, কোন উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষক? টিভি৯ বাংলার কাছে সেই সব নিয়েই মুখ খুলেছেন ওই আইনজীবী। তিনি জানিয়েছেন, ‘মাস্টারমশাই আমাকে ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ফোন করেন। ৮ তারিখ দেখা করতে আসেন। আমি তো বলেছিলাম কোর্টে আসতে। কিন্তু উনি ব্যক্তিগত ভাবে দেখা করতে চেয়েছিলেন।’

তাঁর সংযোজন, ‘আমি ওনাকে নানা ভাবে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছিলাম। কারণ, প্রথমদিকে সরাসরি ভাবে ওনার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। কিন্তু উনি খুব চিন্তিত ছিলেন। এরপর আরেক দিন তিনি আমার বাড়িতে আসেন। সেদিন বলেন, ২৮ তারিখ অর্থাৎ নিখোঁজ হওয়ার দিন ওই ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। তাঁর মন ভোলাতে বাইকে চাপিয়ে ঘুরতেও নিয়ে যান। বীরচন্দ্রপুর পুজো দেন, তারাপীঠ থেকে জামাকাপড় কিনে দেন। আর এই সব করেই অনেকটা দেরি হয়ে গেলে, তাঁকে নিজের বাড়িতেই নিয়ে চলে যান। বলেন বাড়ি ফেরার কোনও প্রয়োজন নেই।’

আইনজীবী মারফৎ জানা গিয়েছে, সেই রাতে অভিযুক্ত শিক্ষকের বাড়িতেই ছিল ওই ছাত্রী। এমনকি, পরদিন তাঁর পরিবারের লোকজন যখন শিক্ষকের বাড়ি ঘেরাও করে সেই সময়ও ছাত্রীকে নিজের কাছেই আটকে রেখেছিলেন তিনি। সেদিন দিনভর ওই ছাত্রীর সঙ্গে কাটিয়ে, ৩০ সেপ্টেম্বর ভোরে তাঁকে ছেড়ে দেয় অভিযুক্ত। তবে আইনজীবীকে এত কিছু জানালেও ‘খুনের’ প্রসঙ্গে মুখ খোলেনি অভিযুক্ত।

ওই আইনজীবী বলেন, ‘খুনের কথা বলেননি। কিন্তু একটি প্রশ্ন তিনি বারংবার আমাকে করেছেন, তা হল যদি ছাত্রীর পচা-গলা দেহ উদ্ধার হয় তখন কী হবে? দেহ উদ্ধার হলে কি ডিএনএ পরীক্ষা করা যাবে?’ প্রসঙ্গত, আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার দিন দশেকের মাথায় উদ্ধার হয় ওই নিখোঁজ ছাত্রীর টুকরো টুকরো করে কাটা দেহ। তারপরই অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ।