Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Satabdi Roy: ‘ইডিয়ট! ইডিয়ট! ইডিয়টের মতো কথা বলছো’, আম-জনতার প্রশ্নেই মেজাজ তিরিক্ষে শতাব্দীর

TMC: স্থানীয় এক বাসিন্দার প্রশ্ন শুনেই বেজায় বিরক্ত শতাব্দী। মেজাজ হারিয়ে সবার সামনে বলেই ফেললেন, 'ইডিয়ট! ইডিয়ট! তুমি ইডিয়টের মতো কথা বলছো।' পরিস্থিতি সামলাতে শেষে শতাব্দীর সামনে থাকা অন্য একজন দলীয় সমর্থককে দেখা যায়, নেত্রীর কাছে হাতজোড় করে পরিস্থিতি সামলাতে।

Satabdi Roy: 'ইডিয়ট! ইডিয়ট! ইডিয়টের মতো কথা বলছো', আম-জনতার প্রশ্নেই মেজাজ তিরিক্ষে শতাব্দীর
মেজাজ হারালেন শতাব্দী রায়Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 24, 2024 | 5:11 PM

বীরভূম: ভোটের প্রচারে বেরিয়ে এবার মেজাজ হারালেন বীরভূমের বিদায়ী সাংসদ তথা এবারের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। বুধবার দুবরাজপুরের বালিজুড়িতে খাগেশ্বর শিব মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। সেখানে পুজো দেওয়ার পর স্থানীয় এক বাসিন্দার প্রশ্ন শুনেই বেজায় বিরক্ত শতাব্দী। মেজাজ হারিয়ে সবার সামনে বলেই ফেললেন, ‘ইডিয়ট! ইডিয়ট! তুমি ইডিয়টের মতো কথা বলছো।’ পরিস্থিতি সামলাতে শেষে শতাব্দীর সামনে থাকা অন্য একজন দলীয় সমর্থককে দেখা যায়, নেত্রীর কাছে হাতজোড় করে পরিস্থিতি সামলাতে। তারপর মন্দির চত্বর থেকে বেরিয়ে যান বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী।

কিন্তু কেন আচমকা মেজাজ হারালেন শতাব্দী রায়? ২০০৯ সাল থেকে এই বীরভূমের সাংসদ তিনি। হ্যাটট্রিক করে ফেলেছেন। কিন্তু তারপরও কেন এই হাল? কেন হঠাৎ প্রশ্ন শুনে মেজাজ হারালেন বিদায়ী সাংসদ? যাঁর প্রশ্নে শতাব্দী মেজাজ হারিয়েছিলেন, তাঁর নাম সুনীল মণ্ডল। এদিন মন্দির চত্বরের ঘটনার পর সুনীলবাবুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি জানতে চেয়েছিলাম, তিনি যে কাজ করেছেন, তার কোনও প্রচার নেই কেন? আমি সেটাই জিজ্ঞাসা করছিলাম। আসল কথাটাই আমাকে বলতে দেওয়া হল না। উনি কী দিয়েছেন, সেই উত্তর আমাকে দিয়ে দিয়েছেন।’

খাগেশ্বর শিব মন্দির চত্বরে মেজাজ হারানোর প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়েছিল শতাব্দী রায়কেও। বিদায়ী সাংসদ হাসতে হাসতে বললেন, ‘ওই ব্যক্তি তাঁকে বলেছিলেন ট্যাঙ্কের জন্য যে টাকা দেওয়া হয়েছিল, সেটা রাতের অন্ধকারে ফেরত নিয়ে গিয়েছে। এটা তো হয় না। এটা তো ব্যাঙ্ক-টু-ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার হয়। এটা তো নগদ টাকা নয়। তাই আমি বললাম, আপনি ভুল কথা কেন বলছেন।’ যদিও শতাব্দীর বক্তব্য, ওই ব্যক্তি পরে তাঁর কাছে এসেছিলেন এবং বিদায়ী সাংসদকে বলেছেন তিনি সেটা বোঝাতে চাননি। পরে ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন শতাব্দী।

এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘শতাব্দী রায় মেজাজ হারাননি। তাঁরাও মানুষ। কোনও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে। তবে উনি খুব ভাল মনের মানুষ।’