Coochbehar: খগেন মুর্মুদের পর ত্রাণ দিতে গিয়ে আবারও আক্রান্ত বিজেপি নেতা
Coochbehar: এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ওই এলাকায়। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। আক্রান্ত বিজেপি নেতাকে উদ্ধার করে তারা। বিজেপি কর্মীরা রক্তাক্ত অবস্থায় ওই নেতাকে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি।

তুফানগঞ্জ: একদিকে উত্তরবঙ্গে ধস বিধ্বস্ত এলাকায় পরিদর্শনে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয়েছে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে। আর এবার ত্রাণ দিতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হল বিজেপির জেলা সহ সভাপতিকে। কোচবিহারের তুফানগঞ্জের ঘটনা। সোমবার বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন বিজেপির কোচবিহার জেলার সহ সভাপতি উজ্জ্বলকান্তি বসাক।
তুফানগঞ্জ ১ নম্বর ব্লকের বলরামপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের শোলাডাঙার ঘটনা। এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ওই এলাকায়। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। আক্রান্ত বিজেপি নেতাকে উদ্ধার করে তারা। বিজেপি কর্মীরা রক্তাক্ত অবস্থায় ওই নেতাকে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি।
এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে ঘাসফুল শিবির। উজ্জ্বলকান্তি বলেন, “বন্যা পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতেই ত্রাণ বিলির জন্য সেখানে গিয়েছিলাম। সেই সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পরিকল্পিতভাবে আমর উপর বাঁশের লাঠিসোটা নিয়ে চড়াও হয়। এলোপাথাড়ি চড়-কিল ঘুষিও মারে। আমার গাড়ির কাচ ভাঙচুর করার পাশাপাশি পকেটে থাকা মোবাইল, নগদ কিছু টাকাও ছিনিয়ে নেয় ওরা।”
বিজেপি নেতার কথায়, “ত্রাণ দিতে এসেও মার খেতে হচ্ছে। আসলে এ রাজ্যে আজ গণতন্ত্র বলে কিছু নেই।” যদিও পুরো অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের তুফানগঞ্জ ১ (ক)-এর ব্লক সভাপতি সিদ্ধার্থ মণ্ডল বলেন, “দু’দিন ধরেই তৃণমূলকর্মীরা দুর্গত মানুষদের পাশে রয়েছে। অথচ এলাকায় কোনও বিজেপি নেতা-কর্মীর দেখা মেলেনি। এই ঘটনা সাধারণ মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।” পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ জমা পড়েনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, সোমবারের হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন সাংসদ খগেন মুর্মুও। তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
