কোচবিহার: লোকসভা ভোটে আরও এক বড় ধাক্কা বঙ্গ বিজেপির। কোচবিহার থেকে পরাজিত বিজেপি প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। ৩৯ হাজারের বেশি ভোটে নিশীথ হারিয়ে কোচবিহার থেকে জয়ী হলেন তৃণমূলের জগদীশ বসুনিয়া। বিজেপির উত্তরবঙ্গের সংগঠনের দিক থেকেও এটি একটি বড় ধাক্কা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি উত্তরবঙ্গে তুলনামূলকভাবে মজবুত, এটাই রাজ্য রাজনীতিতে প্রচলিত মত। সেদিক থেকে নিশীথের পরাজয় কি ব্যাকফুটে ফেলবে উত্তরে বিজেপির সাংগঠনিক শক্তিকে? সেই নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
২০১৯ সালে বিজেপি যে উল্কাগতির উত্থান দেখেছিল, সেখানেও উত্তরবঙ্গের দাপট ছিল চোখে পড়ার মতো। তারপর একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিধানসভাগুলিতে ভাল ফল করেছিল পদ্ম শিবির। কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে সাতটি বিধানসভা। মাথাভাঙা, কোচবিহার উত্তর, কোচবিহার দক্ষিণ, শীতলকুচি, সিতাই, দিনহাটা ও নাটাবাড়ি। এর মধ্যে সিতাই লোকসভা আসন বাদে, বাকি সবগুলিতেই একুশের বিধানসভা ভোটে জয় পেয়েছিল বিজেপি। একুশের ভোটে সিতাই বিধানসভা কেন্দ্র গিয়েছিল তৃণমূলের হাতে। এবার সেই সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়ার কাছেই পরাস্ত হলেন নিশীথ প্রামাণিক।
রাজ্য তৃণমূল-বিজেপি সংঘাতের ক্ষেত্রে অন্যতম চর্চিত জেলা কোচবিহার। রাজ্যের মন্ত্রী তথা কোচবিহারের তৃণমূলের দাপুটে নেতা উদয়ন গুহর সঙ্গে নিশীথের ঠোকাঠুকি সর্বজনবিদিত। কেউ কাউকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়েন না। ভাষা-আক্রমণেও সেয়ানে-সেয়ানে লড়াই চলে কোচবিহারে। উদয়ন গুহর নেতৃত্বে কোচবিহারে তৃণমূলের সংগঠনকে বরাবর চাপে রেখে গিয়েছেন নিশীথ প্রামাণিক। মাঠে-ময়দানে থেকে লড়াই করেছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেই জায়গা থেকে নিশীথের এই পরাজয় বিজেপিকে কোচবিহারে কিছুটা ব্যাকফুটে ফেলবে বলেই মত রাজ্য রাজনীতির কারবারিদের।