আগে সুবিধা নিতে অস্বীকার, এখন মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া সরকারি চাকরিতে না নেই শীতলকুচির সেই আনন্দ বর্মনের পরিবারের
জ্য সরকারের দেওয়া চাকরি নিতে রাজি ঘটনার দিন ভোট হিংসার শিকার নিহত বিজেপি কর্মী আনন্দ বর্মনের (Anansa Barman) পরিবারের সদস্যরাও।
কোচবিহার: ভোটের চতুর্থ দফার দিন শীতলকুচিকাণ্ডে (Sitalkuchi Case) নিহতদের পরিবারের এক সদস্যকে চাকরি দেবে সরকার। বৃহস্পতিবারও সে কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। রাজ্য সরকারের দেওয়া চাকরি নিতে রাজি ঘটনার দিন ভোট হিংসার শিকার নিহত বিজেপি কর্মী আনন্দ বর্মনের (Ananda Barman) পরিবারের সদস্যরাও। তবে দোষীদের শাস্তির দাবিতে অনড় তাঁরা।
চতুর্থ দফার নির্বাচনে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শীতলকুচি। সকালেই তৃণমূলের হামলায় আনন্দ বর্মন নামে এক যুবকের মৃত্যুর খবর আসে। এরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শীতলকুচি। বেলায় জোরপাটকি এলাকায় সিআরপিএফের গুলি চালনার অভিযোগ ওঠে। তাতে মৃত্যু হয় চার গ্রামবাসীর। আধা সামরিক বাহিনীর তরফে গুলিচালনার কথা স্বাকীর করে নেওয়া হয়। তবে বলা হয়, আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালাতে হয়েছিল কর্তব্যরত সিআরপিএফ জওয়ানদের।
ঘটনার পর শীতলকুচি যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে শহিদ বেদি তৈরির কথা ঘোষণা করেন। শহিদ স্মরণ মঞ্চে আনন্দ বর্মনের নিকট আত্মীয়রা কেউ উপস্থিত ছিলেন না। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন দূর্সম্পর্কের দুই আত্মীয়।
নির্বাচনের ফল ঘোষণার পূর্বে জেলা বিজেপি কার্যালয়ে বসে আনন্দ বর্মনের পরিবারের সদস্যদের বলতে শোনা গিয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া কোনও সুবিধা তাঁরা নেবেন না। কিন্তু বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরই নিজেদের মন পরিবর্তন করেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া রাজ্য সরকারি চাকরি গ্রহণ করতে অস্বীকার করেননি আনন্দ বর্মনের পরিবারের সদস্যরা।
শুক্রবার তৃণমূল জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় তাঁর বাসভবনে আনন্দ বর্মনের পরিবারকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানান। এ প্রসঙ্গে আনন্দ বর্মনের দাদা গোবিন্দ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া সুবিধা নিচ্ছি। তবে ঘটনায় যারা দোষী তাদের শাস্তি চাই।”
উল্লেখ্য, শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিচালনার ঘটনায় বিশেষ তদন্তকারী দল, সিট গঠন করেছে সিআইডি। সিটের নেতৃত্বে রয়েছেন ডিআইজি সিআইডি। চার সদস্যের তদন্তকারী দল প্রথমে ওই ঘটনার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত ছিলেন, প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান রেকর্ড করছেন। পাশাপাশি মাথাভাঙা থানার আধিকারিক, যিনি ওই ঘটনার তদন্ত করেছিলেন, তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হবে। পর্যায়ক্রমে ওই দিন ওই এলাকায় জেলা পুলিশের যে আধিকারিকরা ছিলেন, তাঁদেরকেও তলব করা হবে। সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল, তার পুনর্নির্মাণও করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।