Balurghat Crime: যুবককে পিটিয়ে খুনে অভিযুক্তের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার রাতারাতি! গঙ্গারামপুরে দানা বাঁধছে রহস্য
Balurghat Crime: মঙ্গলবারই দুমুঠো গ্রামে গাছে বাঁধা অবস্থায় এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। মঞ্জুরুল নামে ওই যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে গ্রামেরই কয়েক জনের বিরুদ্ধে।
দক্ষিণ দিনাজপুর: গঙ্গারামপুরে এক যুবককে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের দুমুঠো গ্রামের ঘটনা রীতিমতো অন্য মোড় নিল। মৃতের নাম নিবাস রায় (৩২)।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই দুমুঠো গ্রামে গাছে বাঁধা অবস্থায় এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। মঞ্জুরুল নামে ওই যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে গ্রামেরই কয়েক জনের বিরুদ্ধে। তাদের মধ্যে এক জন ছিল নিবাসও। বুধবার সকালে নিবাসের দেহ তারই বাড়ির পাশে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। দেহটি উদ্ধার করে তা গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে বাহিনী মোতায়ন রয়েছে ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিবাসের নামে মঙ্গলবারই গঙ্গারামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয় মঞ্জুরুল হোসেন খুনের ঘটনায়। নিবাস রায় গতকাল থেকে পলাতক ছিল। বুধবার সকালে তার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে৷
ঘটনার প্রেক্ষাপট
সোমবার দুমুঠো সীমান্ত এলাকায় মঞ্জুরুল হোসেন নামে বছর ছাব্বিশের এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। ওই যুবক পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে।
গ্রামবাসীদের বয়ান অনুযায়ী, সোমবার রাতে বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে ওই যুবককে কিছুজন মিলে ঘিরে ধরেন। রাস্তাতেই তাঁকে এলোপাথাড়ি মারা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি তখনকার মতো মিটে যায়। কিন্তু স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, মংলু রায় নামে এক ব্যক্তি মঞ্জুরুলকে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। আহত অবস্থাতেই মঞ্জুরুল সেখানে যান।
অভিযোগ, এরপর থেকেই আর মঞ্জুরুলের সঙ্গে তাঁর পরিবারের সদস্যরা যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। সোমবার মধ্যরাতে খবর পান মঞ্জুরুলের পরিবার। তাঁরা ওই এলাকাতে গিয়ে দেখেন একটি গাছে মঞ্জুরুলকে বেঁধে রাখা হয়েছে। তাঁর সারা শরীর রক্তাক্ত ছিল। যতক্ষণে তাঁকে উদ্ধার করা হয়, মৃত্যু হয় মঞ্জুরুলের।
নিহতের দাদার বয়ান ছিল, “আমার ভাই বাজার থেকে বাড়ি আসছিল। আমরা তখন বাড়িতেই ছিলাম। আমরা খবর পাই রাত দেড়টা নাগাদ। গিয়ে দেখি ওর হাত পা বাঁধা। ইচ্ছে মতো পিটিয়েছে ওকে। আমরা বলেছিলাম ছেড়ে দাও, হাসপাতালে নিয়ে যাব। কিন্তু ছাড়েনি। যতক্ষণে নিয়ে যাই, ও শেষ। ওকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল নাকি ফোন করে ডেকেছিল, সেটা স্পষ্ট জানি না।”
মঞ্জুরুলের পরিবারের তরফে থানায় বেশ কয়েকজনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। গ্রামে একটা চাপা উত্তেজনা ছিলই। কিন্তু বুধবার সকালে ঘটনার মোড় নেয় অন্য। অভিযুক্তদের মধ্যে এক জনের দেহ উদ্ধার হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, গ্রামেরই রাস্তার ধারে গাছে ঝুলছিল দেহ। এই অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরেও রহস্য দানা বেঁধেছে। আদৌ কি এটা আত্মহত্যা নাকি তাকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।