বালুরঘাট: গতকাল দিনভর বিভিন্ন কেন্দ্রের গণনা চললেও রাতভর বঙ্গবাসীর নজরে ছিল বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রর দিকে। কারণ ওই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রর সঙ্গে কাঁটায়-কাঁটায় টক্কর চলেছে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। কারণ এই কেন্দ্রে ইভিএম কারচুপির অভিযোগ তুলে পুর্ণগণনার দাবি তুলেছিল তৃণমূল। তবে গণনার পরও ফলাফল রইল একই। বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিপ্লব মিত্রকে ১০ হাজার ৩৮৬ ভোটে হারিয়ে জয়লাভ করলেন।
উল্লেখ্য,ভোট গণনা শুরু হতেই দেখা যায় কখনও এগিয়ে সুকান্ত। কখনও আবার বিপ্লব মিত্র। সব শেষে সুকান্ত মজুমদারকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সে সময় দেখা যায় তৃণমূলের বিপ্লবের প্রাপ্ত ভোটের মার্জিন বিজেপি প্রার্থীর থেকে অনেকটাই কম। এরপরই পুনর্গণনা চায় তৃণমূল। গঙ্গারামপুর বিধানসভার ২৫ টি বুথে রিকাউন্টিং চেয়েছিল রাজ্যের শাসকদল। রাত বাড়তেই সেখানে দশটা বুথে রিকাউন্টিং শুরু হয়। তৃণমূলের দাবি এই বিধানসভা এলাকায় ভাল ফল করেছে তারা। তবে দেখা যায়, পুনর্গণনার পরও জিতেছেন সুকান্ত।
যদিও তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র বলেন,”বালুরঘাট, তপন ও গঙ্গারামপুর বিধানসভার প্রত্যেকটি বুথে রিকাউন্ডিং চেয়েছিলাম। এবং ইভিএম মেশিন ও ভিভি প্যাড গুলো পরীক্ষা করা দরকার।” এনিয়ে নির্বাচন কমিশনকে সাংবাদিকদের মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ করেন বিপ্লব মিত্র। এই আসনে এক লক্ষ ভোটে জয়ী হওয়ার কথা ছিল তৃণমূল। কিন্তু তৃণমূল অল্প ভোটে হারতে হয়েছে।
অপরদিকে জয়ের পর সুকান্ত বলেছেন, “বিপ্লবদাকে হারানো কঠীন কাজ। অনেকেই বলেছিলেন আমায় রাজ্যের মধ্যে যত শক্তিশালী প্রার্থী রয়েছেন তার মধ্যে অন্যতম হলেন বিপ্লব মিত্র। স্বাভাবিকভাবেই আমার সামনে এটা বড় চ্যালেঞ্জ। আমার পুরো টিম লড়াই করেছে। শুধু তাই নয়, কাউন্টিং সেন্টারের ভিতরেও তাদের বিভিন্ন প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা কেউ যুদ্ধের ময়দান ছাড়েনি। এই জয় আমি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রতিটি কর্মীকে উৎসর্গ করছি।” অপরদিকে, বিপ্লব মিত্র বলেন, “আমি প্রার্থী হিসাবে সরাসরি অভিযোগ করছি কমিশনের বিরুদ্ধে। যে জায়গাগুলোতে ওরা জিততে চায়। কতগুলো ইভিএম মেশিন সেই সেই জায়গাতেই দেওয়া হয়।”