খুনের মামলায় ২৮ বছর জেল খেটেছেন, বৃদ্ধকে সমাজের মূল স্রোতে ফেরাতে বিশেষ পদক্ষেপ জেলা প্রশাসনের
Balurghat: সেই ১৯৮৭ সালের অভিযোগ। বালুরঘাটের রায়নগর এলাকায় একই পরিবারের একাধিক জনকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় অভিযুক্তদের তালিকায় ছিলেন গুরুপদ বর্মণও। আদালত তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছিল।
বালুরঘাট: খুনের অভিযোগ ছিল। দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেলে গিয়েছিলেন। ২৮ বছরের কারাদণ্ড। যাবজ্জীবনের সাজা কাটিয়ে গত ডিসেম্বরেই সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বালুরঘাটের গুরুপদ বর্মণ। তাঁর বাড়ি রায়নগরে হলেও এখন সপরিবারে থাকেন শালগ্রামে। সাজা কাটিয়ে জেল মুক্তির পর থেকে তাঁকে সমাজের মূল স্রোতে ফেরানোর জন্য অক্লান্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রশাসনিক কর্তারা। দীর্ঘ দিন সংশোধনাগারে থাকা গুরুপদর বয়স ৬০ পেরিয়ে গিয়েছে। এখন তিনি প্রবীণ হয়েছেন। গুরুপদ বর্মাণ ও তাঁর স্ত্রীকে সরকারি ভাতা পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে জেলা প্রশাসন।
সেই ১৯৮৭ সালের অভিযোগ। বালুরঘাটের রায়নগর এলাকায় একই পরিবারের একাধিক জনকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় অভিযুক্তদের তালিকায় ছিলেন গুরুপদ বর্মণও। আদালত তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছিল। সেই সাজা কাটিয়ে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পান তিনি। তাঁর জীবনের ২৮টি বছর চলে গিয়েছে সংশোধনাগারের ভিতরেই। বুধবার দুপুরে বালুরঘাটে জেলা প্রশাসনিক ভবনে অবসন্ন মুখে গুরুপদবাবু বললেন, ‘বয়স হয়ে গিয়েছে। এখন আর কী করব। এখন টুকটাক কাজ করে ঘর চলে। বেশি তো কাজ করতে পারি না।’
সংশোধনাগার থেকে মুক্তির পর থেকেই গুরুপদ বর্মণকে সমাজের মূল স্রোতে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। আজ সাংবাদিক বৈঠকে জেলা প্রবেশন কাম আফটার কেয়ার অফিসার জয়ন্ত কুমার সুর জানান, ‘সমাজ কল্যাণ দফতরের উদ্যোগে ওই ব্যক্তি ও তাঁর স্ত্রীকে বার্ধক্য ভাতা করে দেওয়া হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি, আগামী দিনে যাতে তাঁদের আরও সাহায্য করা যায়।’