HS: দেখলে মনে হবে ছোট্ট শিশু, উচ্চমাধ্যমিকে তাক লাগাতেই বিশেষভাবে সক্ষম পায়েলের জন্য এল বড় চমক
HS Exam: পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন জন্মের পর থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে সঙ্গী করেই বেড়ে উঠেছে পায়েল। উচ্চমাধ্যমিকে বসলেও তাঁকে দেখে বোঝার উপায় নেই সে অষ্টাদশী। উচ্চতা দেখলে মনে হবে যেন ছোট্ট শিশু।
বালুরঘাট: তাঁর অভাবনীয় রেজাল্টে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা জেলায়। রেজাল্টে জ্বলজ্বল করছে ৯২ শতাংশ নম্বর। আর যিনি তুলেছেন তাঁর শরীরের ৮০ শতাংশেই কর্মক্ষমতা নেই। বালুরঘাটের অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের কামারপাড়ার বিশেষভাবে সক্ষম পায়েল পালের ইতিমধ্যেই বাড়ি থেকে কলেজ যাওয়া আসার খরচ বহন করার দায়িত্ব নিয়েছে হিন্দু সংহতি। এবার এগিয়ে এল বালুরঘাট মহিলা মহাবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আগামী চার বছর কলেজে পড়ার যাবতীয় দায়িত্ব নিচ্ছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
বুধবার কলেজের এক প্রতিনিধি দলকে পায়েলের কামারপাড়ার বাড়িতে যেতে দেখা যায়। ৫০০০ টাকার চেক, কলম, ডায়েরি, উত্তরীয় এবং মানপত্র তুলে দেয়। পায়েলের পাশে বালুরঘাট মহিলা মহাবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাড়ানোয় খুশি তার পরিবার। খুশি পায়েলও।
পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন জন্মের পর থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে সঙ্গী করেই বেড়ে উঠেছে পায়েল। উচ্চমাধ্যমিকে বসলেও তাঁকে দেখে বোঝার উপায় নেই সে অষ্টাদশী। উচ্চতা দেখলে মনে হবে যেন ছোট্ট শিশু। কোমরের নিচ থেকে বাকি দেহ কার্যত অসার। হাঁটাচল তো দূরের কথা, হাতের অবস্থা এতই খারাপ যে কোনও ভারী কাজ করতে গেলেও রীতিমতো বেগ পেতে হয়। বসে বসেই কাটে দিন। অনেক চেষ্টা করে পেন চালানো শিখে নিয়েছিল ছোটবেলাতেই। পড়াশোনা বাড়ির অদূরের বাদামাইল স্কুলে। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকলে কী হবে ছোট থেকেই এলাকায় মেধাবী ছাত্রী বলে পরিচিতি রয়েছে তাঁর। ক্লাস এইটে একবার দ্বিতীয় স্থানে এসে ক্ষান্ত থাকতে হলেও বরাবরই প্রতি ক্লাসে সে প্রথম হয়ে এসেছে। তাই উচ্চমাধ্যমিকে যে ভাল ফল করবে সেই আশা ছিল পরিবারের। অবশেষে তা পূর্ণতা পাওয়ায় খুশি সকলেই।