Murder : কাঠের বাটাম দিয়ে বেধড়ক মার, পিকনিক করে দেরিতে ফেরায় স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ

Murder : সূত্রের খবর, গত প্রায় ১৮ বছর আগে হিলি ব্লকের ত্রিমোহিনীর চকদাপট এলাকার চম্পা মহন্তের সঙ্গে সজল দাসের বিয়ে হয়। তাদের দুই মেয়েও রয়েছে।

Murder : কাঠের বাটাম দিয়ে বেধড়ক মার, পিকনিক করে দেরিতে ফেরায় স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ
চম্পা মহন্ত দাস
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 17, 2023 | 10:43 PM

বালুরঘাট : পিকনিক করে দেরি করে বাড়ি ফেরায় স্ত্রীর সঙ্গে বচসা স্বামীর। কেন পিকনিক থেকে আসতে দেরি হল স্ত্রীর! সূত্রের খবর, তা নিয়ে বচসা শুরু স্বামীর৷ সেই সময় স্ত্রীকে কাঠের বাটাম দিয়ে বেধড়ক মারধর করে খুনের (Murder) অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। খুনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে৷ মঙ্গলবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট (Balurghat) ব্লকের অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের কুরমাইলে। মৃতার নাম চম্পা মহন্ত দাস (৩৪)। খুনের পর থেকেই পলাতক স্বামী সজল দাস। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ৷ তাঁরাই মৃতদেহটি উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়। ময়নাতদন্তের পর দেহ তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে। যদিও এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি বালুরঘাট থানায়। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিএসপি হেড কোয়ার্টার সোমনাথ ঝাঁ।

সূত্রের খবর, গত প্রায় ১৮ বছর আগে হিলি ব্লকের ত্রিমোহিনীর চকদাপট এলাকার চম্পা মহন্তের সঙ্গে সজল দাসের বিয়ে হয়। তাদের দুই মেয়েও রয়েছে। বড় মেয়ের বয়স ১৭ বছর এবং ছোট মেয়ের বয়স ১৫ বছর। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, নিয়মিত মদ্যপান করত সজল। মদ্যপানের পর স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি ছিল নিয়মিত ঘটনা। মারধরও করত বলে অভিযোগ। এমনকী নানা বিষয়ে সন্দেহও করত স্ত্রীকে। মদ্যপান করে স্ত্রী ছাড়াও প্রায়শই মেয়েদের গায়েও হাত দিত বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, এর আগে একবার স্বামীর বিরুদ্ধে থানাতেও গিয়েছিল স্ত্রী। যদিও সেইবার দুই চম্পা দেবীর পরিবার ও সজল দাসের পরিবার আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা করে নেন। কিন্তু গত সোমবারের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা এলাকায়। জানা গিয়েছে, সন্ধ্যায় স্ত্রী দেরিতে ফেরায় অভিযুক্ত সজল মদ্যপান করে এসেই বাড়িতে মজুত রাখা কাঠের বাটাম দিয়ে মারতে শুরু করে।

এবিষয়ে মৃত গৃহবধূর ভাই দীপক মহন্ত বলেন, দিদি পিকনিক করতে গিয়েছিল কেন, “সেটা নিয়েই অশান্তি শুরু হয়। ফিরতে একটু দেরি হওয়ায় বাড়ি এসেই মারধর করে আমার জামাইবাবু। এরপর কাঠ দিয়ে মাথায় আঘাত করলে সঙ্গে সঙ্গে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে দিদি। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবশেষে ভোরবেলা মারা গিয়েছে। আমরা পুলিশকে সবটা জানিয়েছি। লিখিত অভিযোগ করব।” এ বিষয়ে অভিযুক্তের প্রতিবেশী মিলন মহন্ত বলেন, “এর আগেও নানা কারণে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হত। কিন্তু এই রকম মারধর হয়নি। এ ঘটনা তো আমরা সবাই অবাক।” অন্যদিকে বালুরঘাটের ডিএসপি হেডকোয়ার্টার সোমনাথ ঝাঁ বলেন, “পিকনিক করতে যাওয়া নিয়ে স্বামীর স্ত্রীর অশান্তির জেরে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। তবে এব্যাপারে পরিবারের তরফে এখনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবুও পুলিশের তরফে পুরো ঘটনাটির তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে।”