AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Balurghat: বৃদ্ধের শরীরে ডিম্বাশয়!

Balurghat: বালুরঘাটে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে ল্যাব। সেই সমস্ত ল্যাবগুলির বিরুদ্ধে নানান সময়ে নানা অভিযোগ উঠছে।

Balurghat: বৃদ্ধের শরীরে ডিম্বাশয়!
অমিয় চক্রবর্তী (নিজস্ব ছবি)
| Edited By: | Updated on: Mar 17, 2022 | 8:13 PM
Share

বালুরঘাট: পুরুষের শরীরে ডিম্বাশয়? শুনেই কেমন চমকে উঠলেন না! বালুরঘাট শহরে হাসপাতাল মোড় সংলগ্ন এলাকার এক বেসরকারি ল্যাবে রিপোর্টে চোখ ছানাবড়া চিকিৎসক মহল থেকে অসুস্থ বৃদ্ধের। এই ঘটনা জানাজানি হতেই তোলপাড় গোটা শহর। যদিও ল্যাব কর্তৃপক্ষের দাবি প্রিন্টিং মিস্টেকের জন্য এমন ভুল হয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরেই রিপোর্টে ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন ল্যাব কর্তৃপক্ষ। পরে যদিও রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে এবং চিকিৎসককে জানানো হয়েছে বলেও ল্যাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

বালুরঘাটে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে ল্যাব। সেই সমস্ত ল্যাবগুলির বিরুদ্ধে নানান সময়ে নানা অভিযোগ উঠছে। যা দেখেও কার্যত নিশ্চুপ জেলা স্বাস্থ্য দফতর। যা নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে বালুরঘাটে। জেলাপ্রশাসনের তরফে ওই ল্যাবগুলির উপর কড়া নজরদারির দাবি জানিয়েছে শহরের বাসিন্দারা।

জানা গিয়েছে, মালদা জেলার বাসিন্দা পেশায় অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী অমিয় চক্রবর্তী। বয়স ৮৪। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। সেই কারণে বালুরঘাটের এক হোমিও চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করছিলেন। দিন কয়েক আগে সেই চিকিৎসকের পরামর্শে বালুরঘাটের রঘুনাথপুর এলাকায় একটি ল্যাবে আলট্রাসোনোগ্রাফি করাতে গিয়েছিলেন। এরপর সেই রিপোর্ট নিয়ে শান্তনু দাসের কাছে যান ৷ যা দেখে চক্ষুচড়ক গাছ চিকিৎসকের। ওই রিপোর্টে দেখা যায়, বৃদ্ধের ওভারিতে সিস্ট রয়েছে। যা সাধারণত মহিলাদের দেহে হয়ে থাকে। বিষয়টি জানার পরেই সঙ্গে-সঙ্গে ওই বৃদ্ধ তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে রঘুনাথপুরের সেই বেসরকারি ল্যাবে পৌঁছালে সেখানকার কর্মীরা প্রিন্টিং মিসটেক বলে দাবি করেন। পাশাপাশি ভুল সংশোধনের দাবি বলেন।

এবিষয়ে ওই বৃদ্ধ অমিয় চক্রবর্তী বলেন, “আমি আমার ভাইপোর বাড়িতে মালদা থেকে এসেছি। এখানকার এক হোমিও চিকিৎসকের ওষুধ খাই। ওনার পরামর্শে চিকিৎসা সেই রিপোর্ট করায়। কিন্তু পরে জানতে পারি যে এই ধরনের ভুল রিপোর্ট করেছে। আজ না হয় এত বড় ভুল জন্য ধরলে পারলাম। যেগুলো ভুল ধরা যায় না, সেই রকম হলে কী হত? সাধারণ ভালো মানুষ তো ভুল চিকিৎসায় মারা যাবেন। তাই এখান থেকে আর কোনও রিপোর্ট করাবো না।” অন্যদিকে, পালটা ওই ল্যাবের তরফে দেবব্রত দাস বলেন, “ওই বৃদ্ধের রিপোর্টে সবই ঠিক ছিল। শুধুমাত্র ‘কিডনির’ জায়গায় ‘ওভারি’ হয়ে গিয়েছে। এটা প্রিন্টিং ভুলের জন্য হয়েছে। এটা জানার পরে আমরা সেই বাড়িতে গিয়েছিলাম। ওই বৃদ্ধের চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে সেই রিপোর্টটি ঠিক করে দিয়েছি। প্রিন্টিং মিসটেক ছাড়া আমাদের রিপোর্টে কোনও ভুল হয় না।”

আরও পড়ুন: Bankura Crime: বোনের গলা থেকে ফিনকি দিয়ে বেরোচ্ছে রক্ত, ভাইয়ের হাতে ছুরি, কারণ জানার পর হতভম্ব স্থানীয়রা