গঙ্গারামপুর: লোকসভা ভোটের মুখে বালুরঘাটে আরও শক্তি বাড়াল বিজেপি। শুক্রবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের পদ্ম প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের হাত ধরে আর গেরুয়া শিবিরে যোগ দিল প্রায় ২০-২৫টি পরিবার। গতকাল বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত গঙ্গারামপুরের চালন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে সুকান্ত মজুমদারের হাত থেকে বিজেপির পতাকা তুলে নেন তাঁরা। বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের ভোট রয়েছে দ্বিতীয় দফায়, অর্থাৎ ২৬ এপ্রিল। বাকি এক মাসেরও কম সময়। সেক্ষেত্রে লোকসভা ভোটের মুখে বিজেপির এই শক্তি বৃদ্ধি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, ‘কিছু আদি তৃণমূল ও কিছু সিপিএমের পুরনো প্রধান এবং তাঁদের পরিবার শুক্রবার যোগদান করলেন বিজেপিতে।’
তবে শুধু বিজেপিই নয়, শক্তি বাড়ানোর চেষ্টায় নেমে পড়েছে তৃণমূল শিবিরও। শাসক-বিরোধী সব পক্ষই নিজেদের মতো করে দলের শক্তি বাড়াতে অন্য দলের থেকে লোক টানছে নিজেদের দিকে। শুক্রবার বিকেলে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রেরই অন্তর্গত বংশীহারির ব্রজবল্লভপুরে দেখা যায় তৃণমূলে যোগদানের হিড়িক। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল জানাচ্ছেন, গতকাল সাত-আটটি পরিবার তৃণমূলে যোগদান করেছে। এর পাশাপাশি হরিরামপুরেও প্রায় ৭০ জন তৃণমূলে যোগদান করেছে বলে জানাচ্ছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। বিজেপি, সিপিএম ও নির্দল থেকে তৃণমূলের যোগদান হয়েছে বলে দাবি তাঁর।
যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থীর বক্তব্য, বামফ্রন্ট থেকে কেউ শাসক শিবিরে যোগদান করলেও করতে পারে। তবে বিজেপি থেকে কেউ ব্রজবল্লভপুরে তৃণমূলে যোগদান করেননি। ব্রজবল্লভপুুর এলাকা থেকে এবারের লোকসভা ভোটেও বিপুল লিড মিলবে বলে আত্মবিশ্বাসী সুকান্ত।