Sukanta Majumdar: স্ত্রী-মেয়েদের নিয়ে মণ্ডপে সুকান্ত, অঞ্জলি দিয়ে বললেন, ‘দুর্গতিনাশের’ কথা
Sukanta Majumdar in Durga Puja: তবে এক জায়গায় নয়, একই দিনে দু'জায়গায় অঞ্জলি দিতে দেখা গেল রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। এদিন দক্ষিণ খাদিমপুর শঙ্কর স্মৃতি মন্দিরে অঞ্জলি দেওয়ার পর সোজা নিজের আগের পাড়ার ক্লাবে চলে যান সুকান্ত। বলে রাখা ভাল, বছর কয়েক আগেই খাদিমপুর থেকে একটু দূরে দিপালী নগরে এসে বসবাস শুরু করেন সুকান্ত।

বালুরঘাট: সাংসদ, মন্ত্রী, সর্বোপরি বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতা। কিন্তু অষ্টমী কাটাতে ভালবাসেন পরিবারের সঙ্গেই। প্রতি বছর স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে পৌঁছে যান পুজো মণ্ডপে। যা অন্যথা হল না চলতি বছরেও। মঙ্গলবার মহাষ্টমীর দিন সকাল সকাল সপরিবারে অঞ্জলি দিতে দেখা গেল কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারকে।
এদিন বালুরঘাটের দক্ষিণ খাদিমপুর শঙ্কর স্মৃতি মন্দিরে অঞ্জলি দিতে দেখা যায় তাঁকে। সঙ্গে ছিল দুই মেয়ে এবং স্ত্রী। পুজোর দিনে অন্য সুকান্ত। মন্ত্রী কিংবা কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নয়। একেবারে পাড়ার লোক। অঞ্জলি দেওয়ার পর স্থানীয়দের সঙ্গে খোশ মেজাজে আড্ডা দিতে দেখা যায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে। আবদার মিটিয়ে অনেকের সঙ্গে সেলফিও তোলেন তিনি।
তবে এক জায়গায় নয়, একই দিনে দু’জায়গায় অঞ্জলি দিতে দেখা গেল রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। এদিন দক্ষিণ খাদিমপুর শঙ্কর স্মৃতি মন্দিরে অঞ্জলি দেওয়ার পর সোজা নিজের আগের পাড়ার ক্লাবে চলে যান সুকান্ত। বলে রাখা ভাল, বছর কয়েক আগেই খাদিমপুর থেকে একটু দূরে দিপালী নগরে এসে বসবাস শুরু করেন সুকান্ত। তবে এলাকা বদল করলেও পুরনো পাড়ায় যাওয়া তিনি ভোলেননি। এদিন মন্দিরে অঞ্জলি দেওয়ার পর নিজের পুরনো পাড়ার ক্লাব মৈত্রী চক্রেও গিয়ে পুজো দিতে দেখা যায় তাঁকে।
পুজো মণ্ডপ থেকে সুকান্তর মুখে শোনা যায় কলকাতার দুর্যোগের কথা। সম্প্রতি, টানা বৃষ্টিতে শহর ও শহরতলি মিলিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় মোট ১১ জনের। সুকান্ত বলেন, সেই দুর্গতিনাশ করা প্রয়োজন। তাঁর কথায়, ‘মায়ের উপর আশ্বাস রয়েছে। সব দুর্গতিনাশ করবেন তিনি।’ পাশাপাশি সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের পুজো কমিটি এবং কলকাতা পুলিশের মধ্য়ে চলা ‘বিবাদ’ ঘিরে সুকান্ত বলেন, ‘আমি সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারে গিয়েছিলাম। ওখানে পুলিশের পুরো বিষয়টাই উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত। যেখানে মানুষ ৭০০ মিটার হেঁটে সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারে পৌঁছতে পারত, সেখানে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার হাঁটাচ্ছে তাদের।’
