শুধু মুর্শিদাবাদ-মালদহ নয়, ওদের টার্গেটে শিলিগুড়িও, রাফাল নিয়ে তৈরি সেনাও
Siliguri: উত্তর-পূর্ব তথা দেশের সার্বিক নিরাপত্তার প্রশ্নে চিকেনস নেক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফলে এ দেশে অস্থিরতা তৈরি করতে চিকেনস নেকের থেকে সহজ টার্গেট আর কী হতে পারে? জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার হওয়া মুজিবর ও মীনারুলও এই চিকেনস নেককে টার্গেট করেছিল অস্ত্র পাচারে।
চিকেনস নেক কী?
পর্যটনের পাশাপাশি দেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার প্রশ্নে শিলিগুড়ি অত্যন্ত গুরুত্ব শহর। সামরিক পরিভাষায় এই এলাকাটিকে বলা হয় চিকেনস নেক। মানচিত্রে লক্ষ্য করলে অনেকটা ওই মুরগীর গলার মতো। এই বিস্তীর্ণ অংশটি জুড়ে রেখেছে সাতটি রাজ্যকে।
এটি কুড়ি থেকে একশো সত্তোর কিমি এলাকা। কিষাণগঞ্জের আগে থেকে শুরু করে শিলিগুড়ি পর্যন্ত। কিছুটা জলপাইগুড়ি এলাকাও পড়ছে। এটা ভারতের সব থেকে সরু জায়গা। যার একদিকে বাংলাদেশ, অন্য়দিকে নেপাল, আবার এক কোণা দিয়ে গেলে ভূটান। ফলে এই জায়গাটা মুরগীর গলার মতো সরু। এই জায়গাটা যদি আয়ত্তে আনা যায় তাহলে দেশে একটা অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হবে।
অস্ত্র পাচারে চিকেনস নেক…
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, নেপাল থেকে চিকেনস নেক দিয়ে অস্ত্র পাচারের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। বাংলাদেশ, অসম ও বাংলায় অস্ত্র পৌঁছনোর পরিকল্পনা ছিল। পাক হ্যান্ডেলারের মাধ্যমে অস্ত্র আসার কথা ছিল মডিউলের কাছে। এমনকী ফালাকাটায় এই নিয়ে পরপর বৈঠক করে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার হওয়া ধৃত মুজিবর ও মীনারুল ইসলাম।
অবসর প্রাপ্ত সিআইডি কর্তা, গৌতম ঘোষাল বলেন, “চিকেনস নেক নিয়ে আমাদের কাছে থ্রেট আছে। তবে আমরাও বসে নেই। আমাদের বিএসএফ ও সেনা আছে। আমাদের রাফাল আছে। উত্তরবঙ্গের মাটিতে মজুত আছে উন্নতমানের যুদ্ধ বিমান।”