AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sasthya Sathi Card: স্বাস্থ্য সাথী কার্ড না নেওয়া হলে বাতিল লাইসেন্স, হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর

Sasthya Sathi Card: "শুনেছি, বহু বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্য সাথী কার্য নিচ্ছে না। এমনটা হলে আগে চিহ্নিত করুন। দ্রুত তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিতে হবে। দরকার হলে আমি তাদের লাইসেন্স বাতিল করব।"

Sasthya Sathi Card: স্বাস্থ্য সাথী কার্ড না নেওয়া হলে বাতিল লাইসেন্স, হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর
স্বাস্থ্য সাথী কার্ড না নেওয়া হল বাতিল লাইসেন্স (ফাইল ছবি)
| Edited By: | Updated on: Oct 25, 2021 | 4:13 PM
Share

শিলিগুড়ি: পাঁশকুড়া ম্যেচগ্রামে দুর্ঘটনায় ভেঙেছিল কোমরের হাড়। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ছিল। স্বাস্থ্যবিমার অধীনে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা মিলবে এমনটাই বলা হয়েছিল। কিন্তু মেলেনি কিছুই। কোলাঘাটের গোপালনগর গ্রামের বছর বাইশের হরিপদ সামন্তের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থেকেও কোনও লাভ হয়নি। অতিমারি পরিস্থিতির মধ্যেও বহু অভিযোগ উঠেছে এমনই। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থেকেও কোভিড হাসপাতালে কোনও সুবিধাই পাননি অনেকে। সে অভিযোগের সংখ্যাও নেহাতেই কম নয়। কিন্তু এবার থেকে আর এমনটা হবে না। পরিষ্কার করে আরও একবার বলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বেসরকারি হাসপাতালগুলির ক্ষেত্রেই যে এই অভিযোগের সংখ্যা বেশি, তাও স্বীকার করে নেন মুখ্যমন্ত্রী। শিলিগুড়ির প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও একবার বলে দেন, “শুনেছি, বহু বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্য সাথী কার্য নিচ্ছে না। এমনটা হলে আগে চিহ্নিত করুন। দ্রুত তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিতে হবে। দরকার হলে আমি তাদের লাইসেন্স বাতিল করব।” স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে আরও একবার বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কোথাও কোনও ক্যান্সার রোগী, কোথাও কোভিড রোগী কিংবা সাধারণ ব্যয়বহুল চিকিৎসা করাতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই অনেক পরিবার স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সুবিধা পাননি। সে খবর সামনে এসেছে একাধিকবার। কোথাও কোনও বেসরকারি হাসপাতালের তরফে সোজাসাপটা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘এখানে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দেখিয়ে লাভ নেই’ কোথাও বা উঠেছে আরও বিস্ফোরক অভিযোগ। চিকিত্সক নাকি স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ছুড়েই ফেলে দিয়েছেন। অভিযোগ করেছিলেন খোদ বিধায়ক। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার।

প্রতিমা প্রধান নামে এক মহিলা জরায়ুর টিউমারের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক প্রদীপ করণের কাছে যান। চিকিৎসক জানান অবিলম্বে অপারেশন করতে হবে এবং তার জন্য দরকার ১৮ হাজার টাকা। অপারেশনের খরচ মেটানোর মতো আর্থিক অবস্থা না থাকায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে পরে ডাক্তারবাবুর চেম্বারে যান প্রতিমা দেবী। অভিযোগ, তাঁর মুখের উপর সেই কার্ড ছুড়ে দেন ওই চিকিৎসক। সেবার স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়।

এ ধরনের একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এবার সরাসরি চিহ্নিত করে লাইসেন্স বাতিলের হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী যেখানে রাজ্যের ১০ কোটি মানুষকে সরকারি স্বাস্থ্যবিমার পরিষেবা দিতে উদ্যোগ নিয়েছেন। যে প্রকল্পকে ঐতিহাসিক বলে দাবি করছে রাজ্যের শাসক দল।

স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের ওপর ভর করে ভোট বৈতরণী কার্যত পার করেছে শাসকদল। বহু সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালে এই কার্ডের সুবিধা পেয়েছেন, এমন পরিবারের সংখ্যাও নেহাতই কম নয়। এবার যাতে প্রত্যেক পরিবার রাজ্যের প্রত্যেকটি বেসরকারি, সরকারি হাসপাতালে এই কার্ড দেখিয়ে চিকিৎসা পরিষেবা পান, তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: ১৫ নভেম্বর থেকে রাজ্যে খুলছে স্কুলের তালা, বড় ঘোষণা মমতার

আরও পড়ুন: কলকাতায় কি জারি হচ্ছে কনটেইনমেন্ট জোন? কলকাতা পুরনিগমের বিশেষ নোটিস